রাজার সফরের প্রথম দিন আজ তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া একটি বিদ্যমান চুক্তি পুনরায় নবায়ন করা হবে।
নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কোন দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। এই সফরে রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে রয়েছেন দেশটির রানী, পরিবারের সদস্য, সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বিমান বন্দরে ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
চারদিন সফরের শুরুর দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজা। এসময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও স্মারক বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ভুটান রাজা। রাজাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে একান্ত বৈঠকে অংশ নেন তারা।
ভুটানের রাজার সফরে নতুন করে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে। সেগুলো হলো ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা। এ ছাড়া নবায়ন করা হবে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা–সংক্রান্ত একটি চুক্তি ।
২৬ মার্চ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন ভুটান রাজা।
প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভুটান রাজার বাংলাদেশ সফরে দু'দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে, বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি, এমনটাই প্রত্যাশা।