দেশে এখন
0

জলদস্যুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি: নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজি

সোমালিয়ান জলদস্যুদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। তবে জাহাজে সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে দাবি করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর এম. মাকসুদ আলম। বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তর বলছে, সমুদ্র থেকে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছতে কমপক্ষে আরও দেড় থেকে দুইদিন লাগতে পারে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া থেকে প্রায় ৬শ নটিক্যাল মাইল গভীরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজে সশস্ত্র আক্রমণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এসময় জলদস্যুরা জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে সঙ্গে সঙ্গে জিম্মি করে ফেলে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি।

নৌপরিবহন অধিদপ্তর জানায়, জাহাজ জিম্মি করার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজের নাবিকরা পাইরেসি স্যাটেলাইট এলার্মের মাধ্যমে জলদস্যু আক্রমণের খবর বাংলাদেশকে জানায়।

বর্তমানে জাহাজটি ভারত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিম দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু যাচ্ছে। লোকেশন ম্যাপ বলছে, স্থলভাগ থেকে জাহাজটি বুধবার ভোরে ৪৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলো। তবে জাহাজটি ধীরে চলছে বলে ধারণা অধিদপ্তরের।

জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এম. মাকসুদ আলম বলেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। গতকাল তারা জানিয়েছে সবাই সুস্থ আছেন। সোমালিয়ান পাইরেটসরা তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি।’

জিম্মি নাবিক, ক্রু ও জাহাজ উদ্ধারে আপাততও যুদ্ধ জাহাজ বা বিমান পাঠানোর পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। জাহাজটি খুব ধীরে ধীরে সোমালিয়ার দিকে আগাচ্ছে। দেড় থেকে ২ দিন পর মোগাদিসু পৌঁছানোর পর জলদস্যুরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’

জিম্মিদের উদ্ধারের বিষয়ে এম. মাকসুদ আলম বলেন, ‘বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক এবং চুক্তির মাধ্যমে সেটাকে ব্যবহার করে আমরা সামগ্রিকভাবে যতগুলো পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় করব। যাতে এই জাহাজ এবং জাহাজের নাবিকদের মুক্ত করে আনা যায়।’

মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘যেহেতু যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি, সেজন্য মুক্তিপণের বিষয় বা অন্য কোন উদ্দেশে জিম্মি করেছে সেটি এখনো জানা যায় নি।’

জিম্মি নাবিক ও ক্রুদের স্বজনদের বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের কথা না মেনে আড়ালে বা গোপনে কোন জিম্মি যদি বাংলাদেশে যোগাযোগ করে, তাহলে বিপদ বাড়ার শঙ্কা বেড়ে যাবে।’

আসু