আফিদা, সাগরিকা, স্বপ্নাদের চোখে মুখে সাফল্যের ছাপ। দিনের পর দিন নিরলস পরিশ্রমের মূল্যায়নে উচ্ছ্বাসিত বিশের কোঠা না পেরোনো ফুটবলারদের।
বয়সভিত্তিক দলে একের পর এক সাফল্য। ফেব্রুয়ারিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের মাটিতে ভারতের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। শিরোপা জয়ীদের উৎসাহ দিতে বরাবরই সংবর্ধনার আয়োজন করে বিভিন্ন খেলাবান্ধব প্রতিষ্ঠান। এবারও তেমন আয়োজন করে ওয়ালটন। পরে খেলোয়াড়সহ-কোচিং স্টাফদের হাতে একটি করে টিভি তুলে দেয়া হয়।
তবে অর্থের কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়া দেশের নারী খেলোয়াড়রা কতটা খুশি এমন উপহারে! অন্যদিকে এশিয়াতে নতুন সাফল্যের খোঁজে সরকারিভাবে সাহায্যের পাশাপাশি স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপহারের পরিবর্তে আর্থিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান নারী উইংয়ের চেয়ারম্যানের।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'আমরা যখন বিশ্বকাপকে টার্গেট করে কাজ করবো, তখন আমাদের ২০০-২৫০ খেলোয়াড় রাখতে হবে। আমাদের প্রচুর ট্যালেন্ট আছে। কিন্তু তাদের এই লেভেলে ট্রেনিং করাতে পারি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য নেই।'
একই মঞ্চে জুনিয়র চ্যাম্পিয়নদের জন্য বিশেষ এক ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে। এতদিন ফেডারেশনের কোন আর্থিক নীতিমালায় ছিলো না খেলোয়াড়রা। তবে সিনিয়রদের পাশাপাশি এখন থেকে বেতনের আওতায় আনা হবে আফিদা, সৌরভীদেরও।
কিরণ আরও বলেন, 'এখন থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ থেকেও খেলোয়াড়দের বেতনের আওতায় আনা হবে। কাজেই বয়সভিত্তিকের এ খেলোয়াড়রা চুক্তিতে চলে আসবে। এটা তাদের পরিবারের জন্য অনেক সংকুলান হবে।'
এছাড়াও ক'দিন আগে নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নদেরও শিগগিরই সংবর্ধনা দেবে ওয়ালটন।