সোমবার (১১ মার্চ) বিকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডি ও এফইএসের আয়োজনে সম্প্রতি আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ও সুযোগের করণীয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাড়তি সময়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় বিষয় নিয়ে কথা বলেন বক্তারা।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের আশা বাংলাদেশের। অর্থনীতির সব সূচকে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের মসৃণ যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে এলডিসি ভুক্তদেশগুলোকে নিয়ে এমসি থার্টিন সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।
যে আলোচনায় উঠে আসে এলডিসি উত্তরণের মসৃণ পথে দেশগুলোর কেমন সহযোগিতা লাগবে। আলোচনার টেবিল থেকে বাংলাদেশ অর্জন করেছে আরও তিন বছর সময়। এতে ২০২৬ সালের বদলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কিছু চলমান বাণিজ্যিক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে বাণিজ্যে প্রযুক্তিগত, প্রশিক্ষণগত ও অমীমাংসিত বিষয় সমাধানের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে কথা বলছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: এখন টিভি
আলোচনায় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, 'বাণিজ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি বিনিয়োগ ও দক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিলেই এই অতিরিক্ত তিন বছরে প্রাপ্তির সঠিক সুফল পাওয়া যাবে।'
তিনি বলেন, ‘এক পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হলে অবস্থা আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার মতো হবে। তাদের জ্বালানি তেল ছিল। যখন জ্বালানি তেলের দাম পড়ে গেলো, তারাও পড়ে গেলো। পোশাক খাতের যদি কিছু হয় আমাদের অবস্থাও তাদের মতো হবে। এ শিক্ষাটা আমাদের নিতে হবে। আমাদের পণ্য বৈচিত্রকরণ করতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে। পোশাক খাতের নির্ভরতা থেকে বের হয়ে এসে বিকশিত ও বহুমুখী অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে হবে।’
এমসি থার্টিন সম্মেলনে বাংলাদেশের আরও অর্জন হতে পারতো এমন প্রসঙ্গে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘যতটুকু এসেছে সেটিকেই কাজে লাগাতে চায় সরকার।’
ছবিতে বামে অর্থনীতিবিদ ফাহমিদা খাতুন ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ছবি: এখন টিভি
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ শুধু নিজেদের স্বার্থ নয়। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর নেতৃত্বও দেবে।' বক্তব্যে চামড়া, পাট, ওষুধ ও হস্তশিল্পের রপ্তানি বাড়াতে জোর দেয়ার কথাও জানান তিনি।
এছাড়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তি থেকে বিভিন্ন দেশের সাথে বহুমুখী চুক্তি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকরা।