বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানা সবখানেই দিন দিন চাহিদা বাড়ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজি'র। আগের মাসে ১২ কেজিতে দাম ৪১ টাকা বেড়েছিল। এ নিয়ে টানা ৮ মাস বাড়ানো হলো দাম।
রোববার (৩ মার্চ) বিকাল ৩টায় এলপিজির নতুন এ দর ঘোষণা করে বিইআরসি। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিমাসের শুরুতেই দেশে বোতলজাত এই গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে বিইআরসি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন বলেন, 'গতমাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ছিল ১৪৭৪ টাকা। আর এ মাসে সেটা ১৪৮২ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ ৮ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বিক্রি হবে ১৪৩৭ টাকায়।'
বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১২৩ টাকা ৫২ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা। এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই টানা তৃতীয়বারের মতো বাড়ল এলপিজির দাম।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা করা হয়। জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৫৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৯০ করা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৮ টাকা ৫ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা।
দাম বাড়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিইআরসি বলছে, সৌদি কোম্পানির কাছ থেকে প্রতিটন প্রোপেন কিনতে হয়েছে ৬৩০ ডলারে ও বিউটেন কিনতে হয়েছে ৬৪০ ডলারে।