গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রেও শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যেখানে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৭৭৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে খাতায় স্বাক্ষরের সময় কক্ষ পরিদর্শক বুঝতে পারেন বেশ কয়েকজন ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। পরে পরীক্ষা স্থগিত করে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ জন ছেলে ও ৪৪ জন মেয়েকে অন্যের পরীক্ষা দিয়ে দেয়ার অভিযোগে আটক করা হয়।
সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, 'যাচাই বাচাই করে এইরকম কিছু পরিক্ষার্থী পেয়েছেন আর যার কারণে সংখ্যাটা একটু বেশি হয়ে গেছে তারপরে আমি ইউএনও স্যারকে এবং মাদ্রাসা বোর্ডকে বিষয়টা অবহিত করেছি।
বিষয়টি জানাজানির পর শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। দাবি ওঠে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
শিক্ষার্থীরা বলেন, 'বিষয়টা তদন্ত করে যারা অপরাধী তাদের বিচারের ব্যবস্থা করা দরকার।'
আরেকজন বলেন, 'আমরা যারা শিক্ষার্থী আছি তাদের জন্য ক্ষতিকর। লেখাপড়ার আগ্রহ এভাবে কমে যাচ্ছে।'
খবর পেয়ে ছুটে যান আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন বলেন, 'একজনের পরিবর্তে আরেকজন, যেহেতু ছবি মিলতে ছিল না কক্ষ পরিদর্শকগণ বিষয়টা নিশ্চিত করে। আমাদের পরীক্ষার্থীগণ রয়েছে সেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনের যে সকল প্রক্রিয়া রয়েছে সেইগুলো আমরা অবলম্বন করবো।'
নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় পক্সি পরীক্ষার্থী দিয়ে সুনাম বৃদ্ধির চেষ্টায় এমন অনিয়ম বলে দাবি অনেকের।