কি নারী কি পুরুষ- ফিফা বিশ্ব ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই উত্তেজনায় ভরপুর। এক ট্রফি জয়ের জন্য নিজেদেরকে উজাড় করে দেয়া । এক শিরোপাতে জড়িয়ে থাকে কত আবেগ আর ভালোবাসা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভেদাভেদ করে আসছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
প্রতিযোগিতা এক হলেও পুরুষদের থেকে নারীদের ট্রফিসহ প্রাইজমানিতে বিশাল অঙ্কের পার্থক্য। এবার সেই সমাধানে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে ফিফা।
২০২৬ এর পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ঠিক এর পরের বছর নারী বিশ্বকাপ হলেও এখনও জানা যায়নি আয়োজক দেশের নাম। তবে সেই বিশ্বকাপে অনেক কিছু পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে ফিফা।
মে মাসে ব্যাংককে বসবে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেস। সেখানেই পেশ করা হবে ট্রফিতে হওয়া বিশাল অঙ্কের খরচের পার্থক্যে সমতা টানার পরিকল্পনা। তার জন্য ট্রফির আকারসহ সব মানদণ্ডে সমতা আনতে গবেষণা চালাচ্ছে ফিফা।
১৯৩০ থেকে শুরু হওয়া পুরুষদের ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ট্রফি ভিক্টোরি নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে সংস্থাটির সাবেক সভাপতি জুলে রিমের স্মরণে বিশ্বকাপ ট্রফির নামকরণ করা হয় জুলে রিমে। ১৯৭০ সালে ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে তিনবার প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ট্রফিটির স্থায়ী মালিক হয় ব্রাজিল দল। এরপর থেকে ১৯৭৪ এ জার্মানির শিরোপা উল্লাস থেকে সবশেষ কাতারে আর্জেন্টিনার মেসি-ডি মারিয়াদের শিরোপা উৎসব সবই হয়েছে বিখ্যাত ইতালিয়ান ভাস্কর সিলভিও গাজ্জানিগার নকশার ট্রফি নিয়ে।
ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রফি হলো গাজ্জানিগার ট্রফি। ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি ট্রফিটার বর্তমান দাম আড়াইশো হাজার ইউরো। পুরুষদের ট্রফি সোনার হলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নারী দলকে দেয়া হয় রুপার। যেখানে ২৩ ক্যারেট সাদা ও হলুদ সোনার প্রলেপ দিয়ে মোড়ানো থাকে ট্রফিটি। পুরুষদের ধারেকাছেও নেই নারী চ্যাম্পিয়ন ট্রফির মূল্য। পয়ত্রিশ হাজার ইউরো। মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ হয় ১৯৯১ সালে। সে বছরই এই ট্রফি বানান লেবাননের ভাস্কর সাওয়াইয়া।
শুধু ট্রফিতেই যে পিছিয়ে আছে তা কিন্তু নয়। চোখে লাগার মতো প্রাইজমানির হিসেবে তফাত করেছে ফিফা। তবে এবার ট্রফির সঙ্গে আসন্ন দুই বিশ্বকাপের প্রাইজমানিতে সমতা আনতে চায় সংস্থাটি।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে রেকর্ড ৪২ মিলিয়ন পুরস্কার পকেটে পুড়েছে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। যেখানে পুরো আসরের প্রাইজমানি ধরা হয়েছে ৪৪০ মিলিয়ন ডলার। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া নারীদের বিশ্বকাপে রেকর্ড ১১০ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন স্পেন পেয়েছে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসা ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে এমন বৈষম্য। ভবিষ্যতে এর সমাধান হলে আশা করতেই পারে সমর্থকরা বিশ্বব্যাপী পুরুষ ফুটবলের পাশাপাশি সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে নারী ফুটবলও। কি নারী কি পুরুষ ফিফা বিশ্ব ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই উত্তেজনায় ভরপুর। এক ট্রফি জয়ের জন্য নিজেদেরকে উজাড় করে দেয়া। এক শিরোপাতে জড়িয়ে থাকে কত আবেগ আর ভালোবাসা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভেদাভেদ করে আসছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
প্রতিযোগিতা এক হলেও পুরুষদের থেকে নারীদের ট্রফিসহ প্রাইজমানিতে বিশাল অঙ্কের পার্থক্য। এবার সেই সমাধানে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে ফিফা।
২০২৬ এর পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ঠিক এর পরের বছর নারী বিশ্বকাপ হলেও, এখনও জানা যায়নি আয়োজক দেশের নাম। তবে সেই বিশ্বকাপে অনেক কিছু পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে ফিফা।
আসন্ন মে মাসে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বসবে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেস। সেখানেই পেশ করা হবে ট্রফিতে হওয়া বিশাল অঙ্কের খরচের পার্থক্যে সমতা টানার পরিকল্পনা। তার জন্য ট্রফির আকার,ওজন উপাদান,মূল্য সব মানদন্ডে সমতা আনতে গবেষণা চালাচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
১৯৩০ থেকে শুরু হওয়া পুরুষদের ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ট্রফি ভিক্টোরি নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে সংস্থাটির সাবেক সভাপতি জুলে রিমের স্মরণে বিশ্বকাপ ট্রফির নামকরণ করা হয় জুলে রিমে। ১৯৭০ সালে ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে তিনবার প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ট্রফিটির স্থায়ী মালিক হয় ব্রাজিল দল। এরপর থেকে ১৯৭৪ এ জার্মানির শিরোপা উল্লাস থেকে সবশেষ কাতারে আর্জেন্টিনার মেসি-ডি মারিয়াদের শিরোপা উৎসব সবই হয়েছে বিখ্যাত ইতালিয়ান ভাস্কর সিলভিও গাজ্জানিগার নকশার ট্রফি নিয়ে।
ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রফি হলো গাজ্জানিগার ট্রফি। ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি ট্রফিটার বর্তমান দাম আড়াইশো হাজার ইউরো। পুরুষদের ট্রফি সোনার হলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নারী দলকে দেয়া হয় রুপার। যেখানে ২৩ ক্যারেট সাদা ও হলুদ সোনার প্রলেপ দিয়ে মোড়ানো থাকে ট্রফিটি। পুরুষদের ধারেকাছেও নেই নারী চ্যাম্পিয়ন ট্রফির মূল্য। পয়ত্রিশ হাজার ইউরো। মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ হয় ১৯৯১ সালে। সে বছরই এই ট্রফি বানান লেবাননের ভাস্কর সাওয়াইয়া।
শুধু ট্রফিতেই যে পিছিয়ে আছে তা কিন্তু নয়। চোখে লাগার মতো প্রাইজমানির হিসেবে তফাত করেছে ফিফা। তবে এবার ট্রফির সঙ্গে আসন্ন দুই বিশ্বকাপের প্রাইজমানিতে সমতা আনতে চায় সংস্থাটি।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে রেকর্ড ৪২ মিলিয়ন পুরস্কার পকেটে পুড়েছে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। যেখানে পুরো আসরের প্রাইজমানি ধরা হয়েছে ৪৪০ মিলিয়ন ডলার। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া নারীদের বিশ্বকাপে রেকর্ড ১১০ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন স্পেন পেয়েছে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসা ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে এমন বৈষম্য। ভবিষ্যতে এর সমাধান হলে আশা করতেই পারে সমর্থকরা বিশ্বব্যাপী পুরুষ ফুটবলের পাশাপাশি সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে নারী ফুটবলও।