গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

খুলনায় পলিনেট পদ্ধতির চাষাবাদে সুফল পাচ্ছে কৃষক

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের তাপস সরকার অর্গানিক সবজি চাষে সফল কৃষি উদ্যোক্তা। এবার সরকারি সহায়তায় শুরু করেছেন পলিনেট পদ্ধতিতে চাষাবাদ।

বাড়ির আঙ্গিনার ২০ শতক জমিতে তাপস গড়ে তুলেছেন পলিনেট হাউজ। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন সবজির চারা। ট্রেতে কোকোপিট সার ব্যবহার করে উৎপাদন করা হচ্ছে এসব চারা।

কৃষক তাপস বলেন, 'কোকোপিটের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করলে ৯০ শতাংশের মত অঙ্কুরিত হয়। পলিনেট হাউজ তৈরি হওয়ার খবর পেয়ে স্যারদের অনুরোধ করলাম। এর মাধ্যমে কৃষকের উপকার হবে।'

আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক যেকোন দুর্যোগে চিন্তা বাড়ে কৃষকের। কিন্তু পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে অনেকটাই শঙ্কা মুক্ত থাকতে পারবে কৃষকরা। শুরুটা কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও দীর্ঘমেয়াদে এর ব্যবহারে মিলবে সুফল।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, 'এই চারাগুলো একসঙ্গে বেড়ে উঠে। যে কারণে চারা মৃত্যুর ঝুঁকি কম। তাই ফলন খুব ভালো।'

পলিনেট পদ্ধতিতে ট্রে'তে উৎপাদিত চারা দ্রুত বর্ধনশীল। আর সনাতন পদ্ধতির চেয়ে ফলনে সময়ও কম লাগে। যে কারণে কৃষকরা একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমীন জানান, ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযোজন প্রকল্প মূলত উপকূলীয় এলাকার জন্য টেকসই কৃষিবান্ধব একটি কার্যক্রম। আধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে উপকূলের লবণাক্ত এলাকার জন্য এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তাপস সরকার চলতি বছরের ৫ মাসে মাত্র দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২ লাখ চারা উৎপাদন করেছেন। যা বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩ লাখ টাকা।