মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হাতে উদযাপন আগেও দেখেছে সবাই। লিওনেল মেসির কোপা আমেরিকা জয়ের কথা মনে করলেই সে চিত্র সামনে আসে। এশিয়া মহাদেশ জয় করে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে মনে করিয়ে দিলেন টাইগার কাপ্তান মাহফুজ রাব্বি।
যুবাদের হাত ধরেই বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সে তারুণ্যের শক্তিতে মহাদেশ জয়। আমিরাতের মাটিতে বাংলাদেশি দর্শকদের চিৎকার-উল্লাসে মিশে গেলেন শিবলী-মারুফ-রাব্বিরা।
দুবাই আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় ম্যাচ। আমিরাতের বিপক্ষে টসে জেতা হয়নি। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করা শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ১৪ রানে জিসান আলমের উইকেট হারিয়ে প্রথমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশের যুবারা। তবে ওয়ান ডাউনে নামা রেজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নেন আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি।
দু'জনে মিলে গড়েন ১২৫ রানের জুটি। ৬০ রান করে আউট হন রেজওয়ান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন সেমিফাইনালে জয়ের নায়ক আরিফুল। ৪০ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন তিনিও।
তবে একপ্রান্তে অবিচল থেকে শিবলি তুলে নেন আসরে নিজের দ্বিতীয় শতক। তার ১২৯ রানের ইনিংসে ভর করে ২৮২রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
আমিরাতের ব্যাটারদের কাছে এই রানকে পাহাড়সম বানিয়ে দেয় টাইগার বোলাররা। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন মারুফ আর ইমন। আর ফল হিসেবে তুলে নেন টপাটপ উইকেট।
মারুফের জোড়া উইকেট শিকারের পর দৃশ্যপটে বর্ষণ। তিনি যেন গোলা ছোঁড়েন। আর অপরদিকে আমিরাতের ইনিংসে উইকেটের বর্ষণ নামে। টানা ৩ উইকেট তুলে নেন এই তরুণ পেসার।
ইমন আর জীবন মিলে তুলে নেন বাকি ৫ উইকেট। একের পর এক আঘাতে দিশেহারা আমিরাত গুটিয়ে যায় জয় থেকে ১৯৫ রান দূরে থাকতে মাত্র ৮৭ রানে।
ফাইনালসহ আসরে ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফটি। অবধারিতভাবেই ফাইনাল সেরা, টুর্নামেন্ট সেরা- সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের সব পুরস্কার গেছে শিবলীর দখলে। আর সোনালী ট্রফিটা তো আছেই।
এশিয়া জয়ের উচ্ছ্বাসটা যেমন হওয়া উচিত, বিজয়ের মাসে লাল-সবুজের জয়গান। ভীনদেশের মাটিতে পতাকা উঁচিয়ে ধরার সাধ। সবই পূর্ণ হলো এবার।