পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মহকুমা বারুইপুর। আদিগঙ্গার বুকে অবস্থিত এই অঞ্চলটি পরিচিত রকমারি ফলের জন্য। তবে সবধরনের ফল ছাপিয়ে বারুইপুরের পেয়ারা জয় করেছে রাজ্যবাসীর মন। এবার ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই স্বীকৃতি পাবার দ্বারপ্রান্তে বিখ্যাত এই পেয়ারা।
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই পেয়ারাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যাচাই-বাছাই শেষে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউআইপিও'র নিয়ম মেনে দেয়া হবে এই স্বীকৃতি।
পূর্ব বারুইপুরের বিধায়ক বিভাস সরকার বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পেয়ারাকে জিআই পণ্য করার দাবি জানিয়েছি। এটি দিলে আস্তর্জাতিকভাবে প্রচাব হবে, যার ফলে পেয়ারা চাষিরা উৎপাদনে বেশি আগ্রহী হবে।'
বর্তমানে বারুইপুরের ১০ লাখ পেয়ারা গাছ পরিচর্যার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ হাজার চাষি। জৈষ্ঠ্য মাস থেকে পরবর্তী তিনমাস পেয়ারার ভালো ফলন পাওয়া যায় অঞ্চলটিতে। চাষিদের কাছ থেকে পেয়ারা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন ৪০ জন ফরিয়া।
যারা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলটি পৌঁছে দেন দেশের নানান প্রান্তে। চাষিরা বলছেন, বাজারে যে দামে পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে সে অনুপাতে দাম পাচ্ছেন না তারা। তাই জিআই পণ্যের স্বীকৃতিতে ফলটির চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ভালো আয়ের মুখ দেখার আশা বারুইপুরের পেয়ারা চাষিদের।
চাষিরা জানান, জিআই স্বীকৃতি পেলে আমাদের লাভ হবে। এখন যেভাবে বিক্রি হচ্ছে তাতে আমাদের লাভ হয় না।
শুধু পেয়ারা না, লিচু, জামরুলের পাশাপাশি অঞ্চলটির পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজিকেও জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি বারুইপুরবাসীর।