ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্যাকেজে গত বছরের চেয়ে খরচ কমেছে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা আর হাবের প্যাকেজে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।
এক বছরের ব্যবধানে কীভাবে প্যাকেজ প্রতি লাখ খানেক টাকা কমলো? প্যাকেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোটের ওপর খরচ কমলেও যে বাড়িতে হজ যাত্রীরা ভাড়া থাকবেন তার দূরত্ব বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩ সালে উভয় প্যাকেজে ভাড়া বাড়ির দূরত্ব ছিলো মক্কায় সর্বোচ্চ ১৫০০ মিটার আর মদিনায় সর্বোচ্চ ১০০০ মিটারের মধ্যে। আর ২০২৪ সালের প্যাকেজে সেই দূরত্ব বেড়ে মক্কায় হয়েছে সর্বোচ্চ ২৫০০ মিটার আর মদিনায় ১৫০০ মিটারের মধ্যে। আর এতেই উভয় প্যাকেজে শুধু বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা কমেছে। এছাড়া তাবুর মানও কমেছে। এভাবে সেবার মান কমিয়ে প্যাকেজের খরচ কমানো হয়েছে।
আল রাফি ওমরাহ অ্যান্ড হজ কাফেলার স্বত্বাধিকারী মুজিবুল হক শাকুর বলেন, আসলে হজ প্যাকেজের খরচ কমেনি। বরং যাতায়াতের কারণে হজযাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
তবে অনেক হজ এজেন্সি মনে করছে, মোটের ওপর এতো বড় অংকের খরচ কমায় হজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
এবারের প্যাকেজে বিমান ভাড়া মাত্র ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমেছে। প্যাকেজের খরচ কমানো নিয়ে এজেন্সিগুলোর মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকলেও বিমান ভাড়া যে লোক দেখানো কমানো হয়েছে তা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই।
হাব-এর সভাপতি শাহাদাত হোসাইন বলেন, দাম কমানোর জন্যই আমাদেরকে সেবার মানের সাথে আপস করতে হয়েছে। এদিকে আটাব-এর মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, এই প্যাকেজে হাজিদের ব্যক্তিগত খরচ বাড়বে। এতে করে হজ এজেন্সিগুলোর সেবাদানে ঘাটতি দেখা যাবে। তবে বিমান ভাড়া আরও কমালে হাজিদের সুবিধা হতো।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।