দিনকে দিন খাবারের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে শুঁটকি মাছ। শুধু দেশে নয়, বিদেশও বাড়ছে চাহিদা, বাড়াতে হচ্ছে সরবরাহ। তাই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কেমিক্যালমুক্ত শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ততা বাড়ছে জেলেদের।
সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে কিছুটা পশ্চিমে দেখা মিলবে সারি সারি শুঁটকির মাঁচা। লইট্টা, ফাইসা, ছুড়ি, রূপচাঁদা, ইলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ির শুঁটকি তৈরি হয় এখানে। যা বিক্রি হয় কুয়াকাটার শতাধিক দোকানে।
তবে একসময় সনাতন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট মৌসুমে শুঁটকি তৈরি করা হলেও এখন বছরব্যাপী চলছে এই কার্যক্রম। নিরাপদ ও বিষমুক্ত পদ্ধতিতে শুঁটকি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও। যাতে গুণগতমান বজায় রাখার মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা পূরণ সম্ভব।
বরগুনা এস ই পি প্রকল্পের পুষ্টিবিদ রাজিব সরকার জানান, 'তাজা মাছ থেকে বানানো শুঁটকির পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। এর ১০০ গ্রাম শুঁটকিতে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রোটিন পেয়ে থাকি। এতে সেলেনিয়াম থাকে, যা আমাদের ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে।'
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী শতকোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি করেছেন। তবে আসন্ন শীত মৌসুমে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির লক্ষ্য শুঁটকি উৎপাদন ও বাজারজাত করার কথা বলছেন- ব্যবসায়ীরা।
বেচাকেনা পরিধি বাড়াতে গেল মাসে সৈকতে আয়োজন করা হয় 'মেলা'। যেখানে বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শুঁটকি।