একপাশ দিয়ে চলে নৌকা, অন্য পাশে ভেকু মেশিন। বুড়িগঙ্গার এক চ্যানেলে কেন দুই চিত্র?
মূলত আদি বুড়িগঙ্গার একপাশ খনন করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। বাকিটার কাজ এখনও চলছে। ভেকু মেশিন দিয়ে সরানো হচ্ছে মাটি ও আবর্জনা।
চলাচল উপযোগী অংশে কিছুটা হলেও সুবিধাভোগ করছে লালবাগ এলাকার বাসিন্দারা। সেজন্য দ্রুত আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল দখলমুক্ত ও পুন:খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তাদের।
২০২১ সালে ৭ কিলোমিটার চ্যানেলটি উদ্ধার করতে কাজে হাত দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রাজধানীর হাতিরঝিল থেকেও দৃষ্টিনন্দন করার পরিকল্পনা ডিএসসি'র। এজন্য প্রথম পর্যায়ে ২৫ কোটি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৩৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের সবশেষ অগ্রগতি দেখতে আসেন দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। জানান, ৩০ থেকে ৪০ ফিট চ্যানেলটি খনন করে ৬০০ ফিট প্রশস্ত করা হবে। সব কাজ শেষ করে আগামী বর্ষায় খুলে দেয়া হবে চ্যানেলটি। চ্যানেল ঘিরে গড়ে তোলা হবে গণপরিসর, সাইকেল লেনসহ নানা স্থাপনা।
মেয়র তাপস আরও জানান, 'বুড়িগঙ্গা তার রূপ ফিরে পেয়েছে, আগামীতে নৌকা বাইচসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম আমরা করতে পারব।'
এছাড়া বেড়িবাঁধ ধরে রায়েরবাজার স্লুইস গেট থেকে লোহারপুল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার প্রশস্ত সড়ক তৈরির প্রকল্পটি একনেকে পাশ হয়েছে। চ্যানেল উদ্ধার হলে সড়কের কাজও শুরু হবে বলে জানান মেয়র।