স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

অনলাইনে ডায়াবেটিস চিকিৎসা নিয়ে অপপ্রচার, কোটি টাকার বাণিজ্য!

দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত দেড় কোটি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপচিকিৎসার প্রচারের শিকার অনেকেই। বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।

দেশে ডায়াবেটিস রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা থাকার পরও অপচিকিৎসার জালে আটকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অনলাইনে দুনিয়ায় অপপ্রচারে শিক্ষিত মানুষও অনেক ক্ষেত্রে প্রতারিত হচ্ছেন।

আধুনিক চিকিৎসায় টানা ৬ বছর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ছিলো লুৎফা বেগমের। হঠাৎ এক স্বজনের পরামর্শে ইনসুলিন ছেড়ে হারবাল ওষুধ নেয়া শুরু করেন। এতেই কয়েকমাসের ব্যবধানে ডায়াবেটিসের মাত্রা ৮ থেকে ৩৩ এ বেড়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বিমান বাংলাদেশের সাবেক এক কর্মকর্তা নিয়মিত ওষুধ সেবন করলেও এক কেজি মরিঙ্গা পাতা কিনে রেখেছেন। ওষুধের সঙ্গে নিয়ম করে সেবন করেন প্রতিদিন। বলেন, ‘এটা খাওয়াতে দৃশ্যত কোনো উপকার হয়নি।'

এদিকে ডায়াবেটিস রোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপচিকিৎসা বাড়ছে। ভুক্তভোগী কখনও কিটো ডায়েট, কখনও হারবাল মেডিসিন কখনও বা মরিঙ্গা পাতার পেছনে ছুটছেন। আবার কেউ কেউ বিজ্ঞাপন দেখে বা স্বজনদের পরামর্শে প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছেন।

ডায়াবেটিস রোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপচিকিৎসা বাড়ছে। ছবি: এখন টিভি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, ডায়াবেটিস চিকিৎসার প্রচারণা দেখে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। আবার অনলাইনে ডায়াবেটিসের ওষুধ দেখে অর্ডার করেও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের দাবি, প্রতি সপ্তাহে ৪-৫ জন রোগী আসেন, যারা ভুল চিকিৎসায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি শারীরিকভাবে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ছেন।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ফেসবুকে আমার ছবি ব্যবহার করে নানা ধরনের ওষুধ বিক্রি চলছে। যেখানে আমার কোনো বক্তব্য নেই কিন্তু ছবি আছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের সহযোগিতো পেলেও এসব অপপ্রচার বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

এসব অপপ্রচার বন্ধের জোর দাবি জানান ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে কবিরাজ, ওষুধের দোকানি ও স্বজনদের থেকে মুখ ফিরিয়ে একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

আরও পড়ুন: