১৯৪৬ সালে ৩১ জানুয়ারি সংঘটিত বৃহত্তর ময়মনসিংহের টংক আন্দোলনে হাজং এলাকায় কৃষক বিদ্রোহ দমনকারী মিলিটারিদের হাত থেকে কৃষকবধূ ষোড়শী কুমুদিনী হাজংকে বাঁচাতে গিয়ে রাশিমণি হাজংয়ের দায়ের আঘাতে একজন সৈন্যের দেহ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে অন্য আরেক ব্রিটিশ সৈন্যের গুলিতে শহীদ হন রাশিমণি হাজং।
নারীর সম্মান আর নিজ সম্প্রদায়ের মর্যাদা রক্ষার আত্মত্যাগ রাশিমণি হাজংকে করেছে হাজং সম্প্রদায়ের হাজং মাতা। সেই হাজং মাতার আজ ৭৯তম প্রয়াণ দিবস আজ।
দিনটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো মত এবারও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন হাজং সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। আজ (শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় টংক আন্দোলনের পটভূমি নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলাগাড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের রাশিমণি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হাজং সম্প্রদায়, স্থানীয় বিএনপি সহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা।
দিবসটি উপলক্ষে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচার অ্যাকাডেমি আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে সকালে স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হাজং গান সহ আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
পরে এক আলোচনা সভায় রাশিমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য বিপুল হাজংয়ের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল অ্যাকাডেমির পরিচালক সুজন হাজং। এছাড়াও অন্যান্য মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, বাংলাদেশ হাজং সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, কুল্লাউড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আলম, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের সভাপতি দ্বিজেন্দ্র হাজংসহ আরো অনেকেই।