কৃষি
এখন জনপদে
0

চলনবিলে বোরো মৌসুমে সার ও বিদ্যুৎ সংকটে কৃষক

নাটোরের চলনবিলে বোরো ধান রোপণের ভরা মৌসুমের শুরুতেই সার সংকটে কৃষকরা। এছাড়া তীব্র বিদ্যুতের সংকটে সেচের কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে।

বিস্তীর্ণ চলনবিল জুড়ে চলছে বোরো ধান রোপণ। তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকরা কাজ করছে ।

বোরো ধান চাষে প্রয়োজনীয় সার ইউরিয়া ও ডিএপি। কিন্তু কৃষকেরা বাজারে পাচ্ছেন না এ সার।ফলে, অনেকেই সার ছাড়াই রোপণ করছেন বোরো ধান। অনেকে সার পেলেও তার জন্য গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

চলনবিলে সেচের জন্য ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প। কিন্তু চলতি মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় সেচ কার্যক্রমেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

চলতি বছরে নাটোরে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু চলনবিলের সিংড়া উপজেলাতে বোরো ধান রোপণ হবে প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের দাবি, জেলায় পর্যাপ্ত সারের মজুত রয়েছে। সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেয়া হয় ।

নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘কেউ কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে অরাজকতা তৈরি করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কৃষি কাজে বিশেষ করে বোরো মৌসুমে সেচ কাজে যেন কোনো বিদ্যুৎ বিভ্রাট না ঘটে এজন্য আমরা সজাগ আছি, কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’

পুরো চলনবিল জুড়ে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি মৌসুমের শুরতেই সারের তীব্র সংকটে ভুগছেন। সে সাথে দেখা দিয়েছেন বিদ্যুতের সংকট। কৃষকরা বলছে, বিদ্যুৎ এবং সারের সংকট সমাধান করতে না পারলে আগামী দিনে বোরো ধান উৎপাদনে বেশ বেগ পেতে হবে তাদের। তাছাড়া সারের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে উৎপাদন খরচও দ্বিগুণ হয়েছে। সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ কৃষকদের।

এএম