আহত শিক্ষার্থী কাজলকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠিয়েছে সরকার
গণঅভ্যুত্থানে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া হয়েছে থাইল্যান্ড। এ নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে আহত পাঁচ জনকে পাঠানো হয়েছে দেশের বাইরে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলছেন, আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে তুর্কিয়ে, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কাজলকে নেয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড
জুলাইয়ের গণবিপ্লবে যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে আহত কাজলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেয়া হচ্ছে। আজ (শনিবার, ১৬ নভেম্বর) তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের (নিনস) চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মাঝরাতে উপদেষ্টাদের আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরেছেন আহত ছাত্র-জনতা
মাঝরাতে ৪ উপদেষ্টার সশরীরে উপস্থিতি এবং আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরেছেন গণঅভ্যুত্থানের আহত ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। একই সাথে ডিসেম্বরের মধ্যে সব সমস্যা সমধানের প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টারা।
হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সুচিকিৎসার দাবিতে সড়ক অবরোধ
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খবর নিতে হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোরে জুলাই আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে যান তিনি। হাসপাতাল থেকে তিনি চলে যাওয়ার পরেও সুচিকিৎসার দাবি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আহতরা।
‘বিদেশে চিকিৎসা ছাড়া জুলাই-আগস্টে আহতদের সুস্থ করা অসম্ভব’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় স্বৈরাচারের করা গুলি যাদের চোখে-মুখে লেগেছে, তাদের অনেকেরই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ব্যতীত সুস্থ করা অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থ ও সময়। যদিও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ হচ্ছে।’
'সবচেয়ে অ্যাক্টিভ উপদেষ্টা হওয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার'
বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সবচেয়ে অ্যাক্টিভ উপদেষ্টা হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। আজ (মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর) সাভারের সিআরপিতে আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি একথা জানান। এসময় চিকিৎসায় অবহেলা ও অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারজিস। কিছু সীমাবদ্ধতার দায় স্বীকার করে চিহ্নিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে দেখছে।
পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় মর্গে বেড়েছে অজ্ঞাত মরদেহের সারি
রাজধানীর হাসপাতাল, মর্গের সামনে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে স্বজন হারানোদের ভিড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেকেই ভাসছেন অথৈ সাগরে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় মর্গগুলোতে বেড়েছে অজ্ঞাত মরদেহের সারি। মরদেহ দাফন কাজের সঙ্গে যুক্ত আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম জুলাই মাসে আগের মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ নাম পরিচয়হীন মরদেহ দাফন করেছে, যাদের অধিকাংশের শরীরে রয়েছে গুলির চিহ্ন।
প্রাণ হারানো একেকটি পরিবারের ক্ষতি পূরণ হবে কীভাবে?
গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলির কাছে মাথা নত করেনি। মুক্তির জন্য যারা করেছেন সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ, সেই পরিবারগুলো ভালো নেই। ঘাতকের গুলি কেবল একজন মানুষকে ভেদ করে গেছে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত করেছে পুরো পরিবারকে। আর শুধু আন্দোলনকারী নন, এলোপাথাড়ি গুলিতে অনেকেই হারিয়েছেন তার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। কেউ হারিয়েছেন সাজানো সংসার।