গুমের-ঘটনা

গুমের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। এছাড়াও হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন। গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

‘গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশনের সুপারিশে নিরাপত্তাবাহিনীর কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি’

গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কোনো সুপারিশের ভিত্তিতে নিরাপত্তাবাহিনীর কাউকে বরখাস্ত করা হয় নি বলে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। আজ (রোববার, ২৪ নভেম্বর) তিনি এ কথা জানান।

‘গুম হওয়া মানুষের সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে চার হাজার হতে পারে’

গত ১৫ বছরে গুমের সব ঘটনার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গুম হওয়া ব্যক্তিদের দাবি, আন্তর্জাতিক আইনের আদলে দেশে গুমবিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে।

গুমের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার দাবি

বিগত সরকারের সময়ে যারা গুমের সাথে জড়িত ছিল তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকের। আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস উপলক্ষে সকালে, বিচার চাইতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিলো স্বজনরা, কন্ঠে ছিলো প্রতিবাদের ভাষা। তাদের দাবি, তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে গুমের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার।

দুর্নীতি ও গুম তদন্তে সেনাবাহিনীর আদালত গঠন

অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের আদালত গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে এ আদালতের সদস্য কারা ও তারা কোন বিষয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।