
বিনামূল্যের পাঠ্যবই: প্রাথমিক এগোলেও পিছিয়ে মাধ্যমিক
শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছনো নিয়ে শঙ্কা
২০২৬ সালের বিনামূল্যের পাঠ্যবই প্রস্তুত হচ্ছে। প্রাথমিকের ৯০ শতাংশ বই ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে গেলেও, মাধ্যমিকের বই রয়ে গেছে প্রেসেই। ৭০ শতাংশের বেশি বই এখনও প্রস্তুত হয়নি। জানুয়ারির মধ্যে এসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছনো নিয়ে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। অনেকের অভিযোগ, কোনো কোনো প্রেস মালিক শেষ সময়ে নিম্নমানের বই দিতে খুঁজছেন নানান ফাঁকফোকর। কিন্তু এনসিটিবি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

স্কুলপর্যায়ে পৌঁছেনি অর্ধেক বই অথচ কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে
সিন্ডিকেটের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব!
বছরের এক মাস পার হলেও অর্ধেক বইও পৌঁছেনি মাঠপর্যায়ে। অথচ বিনামূল্যের যে পাঠ্যবই স্কুলে শিক্ষার্থীরা পাননি, সেই বইয়ের আসল ও নকল কপি কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। এখন টেলিভিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিন্ডিকেটের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয়। এনসিটিবি বলছে, রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মাত্র ১৫ শতাংশ পাঠ্যবই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে
নানা চ্যালেঞ্জ আর অনিশ্চয়তার মধ্যে, আসছে বছরের শুরুর দিন বিতরণ শুরু হলেও, সবার হাতে পৌঁছাবে না সব বই। প্রথম দিন সব বই পাবেন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাবে বাংলা, ইংরেজি, ও গণিত। তবে এখন পর্যন্ত ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ১৫ শতাংশ বিনামূল্যের পাঠ্যবই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সব বই ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে যাবে বলে প্রত্যাশা এনসিটিবি'র। আর প্রিন্টিং প্রেস মালিকরা বলছে, জানুয়ারি নয়, সব বই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছাবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তবে বিগত সময়ে নিম্নমানের বইয়ে সারাদেশ সয়লাব থাকলেও এবার মানসম্মত বই মুদ্রণ হতে দেখা যাচ্ছে প্রিন্টিং প্রেসগুলোতে।