
পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; কয়েক হাজার গ্রাম প্লাবিত
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে আড়াই ২ লাখ বাসিন্দাকে। প্রদেশের তিনটি প্রধান নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার গ্রাম। রেকর্ড ভারী বৃষ্টিতে শিয়ালকোটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এদিকে, ভারতের পাঞ্জাব অংশে প্লাবিত হয়েছে ৮ শতাধিক গ্রাম। ছত্তিশগড়ে প্রাণ গেছে অন্তত ৮ জনের। এছাড়া, জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
উজানের ঢলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে বাড়ছে পানি। ফলে প্লাবিত হয়েছে জেলার পাঁচ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি সদর উপজেলার নারায়নপুর, আলাতুলী, উজিরপুর, পাঁকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের ১১ হাজার পরিবার, তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি।

তিস্তায় পানি বাড়ায় লালমনিরহাটে ফসলের ক্ষতি
তিস্তায় পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল। এরইমধ্যে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসলের খেত ও মাছের পুকুর। দ্রুত পানি না নামলে আমনের বীজতলা ও খেত নষ্টের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে, তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় নীলফামারী ও রংপুরের বেশকিছু নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

ফের ডুবতে শুরু করেছে ফেনীর উত্তরাঞ্চল
ফেনীর পরশুরামে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ফুঁসে উঠছে মুহুরী নদীর পানি। বাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে ঢুকছে বানের পানি। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে জনপদ। ডুবতে শুরু করেছে পরশুরামের পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর ও চিথলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ঢুকছে ফুলগাজীর কিছু এলাকাতেও।

নিম্নচাপের প্রভাবে সোনাগাজীর চার ইউনিয়ন প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ার ও তীব্র স্রোতের কারণে উপজেলার চার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

শেরপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত শেরপুরের ঝিনাইগাতি। এতে জেলার ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে পানিতে। ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে মহারশী নদীর ৩টি স্থানে। শেরপুর জেলায় আজ (শুক্রবার,৪ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

পানির নিচে কুমিল্লার ১৪ উপজেলা, লোকসানে কৃষক
বন্যার পানিতে ডুবেছে কুমিল্লার ১৪টি উপজেলা। তলিয়ে গেছে ফসলি খেত। নষ্ট হয়েছে আউশ ও আমন ধান, সবজিসহ সব ফসল। ভেসে গেছে ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে কৃষকরা।

বন্যায় কাজাখস্থানের ১০টি রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি
ভয়াবহ বন্যায় কাজাখস্তানের ১৪টি রাজ্যের মধ্যে ১০টি রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাশের দেশ রাশিয়ার বেশকিছু অঞ্চল।