এবার শুধু টার্ফ নয়, সাথে প্রথমবারের মতো বসানো হবে স্প্রিংকলও। এর সঙ্গে বাফুফে সংলগ্ন মাঠের টার্ফ সাথে ড্রেসিং রুমের কাজ করতে ফিফার বাজেট প্রায় ৮ লাখ ৮২ হাজার মার্কিন ডলার।
যে মাঠ কয়েকমাস আগেও ফুটবলারদের পদচারণায় মুখোরিত থাকতো সেটা এখন পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আখড়ায়।
পথচারীদের একজন বলেন, ‘এখন নিয়ন্ত্রণ নেই এখানে। দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ সময়ে আড্ডা চলে এখানে।’
ক্যামেরা দেখে কমলাপুরের স্টেডিয়ামের ভিতরে থাকা কয়েকজন তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যায়। দেয়াল টপকে বা অন্যকোনোভাবে নয় মূল ফটক দিয়ে বের হন তারা।
প্রশ্ন মাঠের ভিতরে ঢুকলো কীভাবে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে একজন ইলেকট্রিশিয়ান ক্যামেরা দেখে বেকায়দায় পড়লে মুখ খুলেন তিনি।
ইলেকট্রিশিয়ান বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা কম। কিছু বলতে গেলে স্থানীয়রা এখানকার যারা আসে তারা তেড়ে আসে। কিছু বলা যায় না।’
পরবর্তীতে দায়িত্বে থাকা স্টেডিয়ামের প্রশাসককে তার রুমে গিয়ে পাওয়া যায়নি। ফোন করলে নিরাপত্তাকর্মীর অভাবসহ আরো নানা অজুহাত দিলেন এই কর্মকর্তা।
কমলাপুর স্টেডিয়ামের প্রশাসক ইমদাদুল মিলন বলেন, ‘মাঠের ভিতর এইটা হওয়ার কথা না। তবে উন্নয়নের কাজের দোহাই দিয়ে হয়তো তারা যেতে পারে সেখানে। আমাদের জনবল কম। আমাদের মাত্র চারজন নিরাপত্তা প্রহরী আছে।’
দীর্ঘদিনের স্টেডিয়ামের এমন হালে এক অপরের উপরে দোষ চাপিয়ে নিজেদের চেয়ার ধরে রাখতেই যখন মরিয়া দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তখন স্বাভাবিক ভাবেই ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন উঠে তাদের হাতে স্টেডিয়াম রক্ষা কতটুকু সম্ভব?