নিজস্ব শৈলী, নেতৃত্বগুণ, কৌশল আর যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পটু এসব গুণাবলি একজন অধিনায়কের সহজাত বৈশিষ্ট্য। ক্রিকেট মাঠে একজন অধিনায়কের ভূমিকা অপরিসীম।
গেল দেড় দশকে তুলনা হতো কে সেরা অধিনায়ক রিকি পন্টিং নাকি ধোনি? ধোনির ছিল আত্মবিশ্বাস ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নেবার সক্ষমতা, দলের সবার মাঝে তা সংক্রমিত হতো দারুণ ভাবে। অপরদিকে পন্টিং ছিলেন একজন আগ্রাসী ও কৌশলী নেতা। তার দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকার মানসিকতা তাকে অন্য সবার থেকে করেছে আলাদা।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর রোহিত শর্মা ছাড়িয়ে গেছেন অন্য সবাইকে। ১৪২ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে রোহিত জয় পেয়েছেন ১০৫ ম্যাচে,হার ৩৩ ম্যাচে। জয়ের শতাংশ ৭৩ দশমিক ৯৪। ক্রিকেটে কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ জেতা অধিনায়কদের তালিকায় এটা সর্বোচ্চ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রিকি পন্টিং। ৩২৪ ম্যাচে জয় ২২০ ম্যাচে পরাজয় ৭৭ ম্যাচে । জয়ের শতাংশ ৬৭.৯০। ১৬৩ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে ১০৬ ম্যাচে জয় স্টিভ ওয়াহর, হার ৪৪ ম্যাচে। জয়ের শতাংশ ৬৬.২৫। এই তালিকায় চার নম্বরে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে। ১৯১ ম্যাচে তার জয় ১২৬ ম্যাচে। তালিকার পাঁচে ভিরাট কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে ২১৩ ম্যাচে ১৩৭ জয় তার। তালিকার ছয় নম্বরে সাবেক উইন্ডিজ গ্রেট ক্লাইভ লয়েড। ১৫৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ঠিক ১০০ ম্যাচে জয় পেয়েছেন তিনি ,পরাজয় ৩০ ম্যাচে। জয়ের শতাংশ ৬৩.০০।
তবে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটে শুধু অধিনায়কত্বের বিবেচনায় সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবেন স্টিভ ওয়াহ। তার ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে কাবু করার অসাধারণ ক্ষমতা, চাপের মুহূর্তেও নার্ভ ধরে রাখার বৈশিষ্ট্য ছিল অসামান্য। ৫৭ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৪১ জয়ের বিপরীতে মাত্র ৭ পরাজয় ড্র করেছেন ৯টি টেস্ট। জয়ের শতাংশ ৭১.৯২। অস্ট্রেলিয়াকে টা ১৬ টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়াহ। অপরদিকে ওয়ানডেতে ১০৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ৬৭ ম্যাচে পরাজয় ৩৫ ম্যাচে জয়ের শতাংশ ৬৫.২৩। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১২০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস যা বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে বিবেচিত হয় আজও।