'জিততে চাও তো স্পিন পিচ বানাও'। ভারতীয় উপমহাদেশে একসময়কার নিয়মিত বচন ছিল এটি। পেস বোলারদের চারণ ভূমি বাউন্সি পিচের জন্য সুপরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকাও এবার ব্যতিক্রমী এক ইতিহাস গড়ল স্পিন বোলিংয়ে।
পার্লের বোল্যান্ড পার্কে শনিবার এসএ-২০ টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক পার্ল রয়্যালস ও প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পার্ল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪০ রান সংগ্রহ করে।
ইংলিশ তারকা রুট সর্বোচ্চ ৭৮ এবং ডেভিড মিলার করেছেন ২৯ রান। পরবর্তীতে লক্ষ্য তাড়ায় নামা প্রিটোরিয়াকে স্পিন ঘূর্ণিতে কাবু করে পার্ল। কোনো পেসার ব্যবহার না করেই তারা প্রতিপক্ষকে ১২৯ রানে আটকে দেয়।
জয়ের দৌড়ে পাঁচজনই স্পিনার ব্যবহার করেছে পার্ল। এরমাঝে মুজিব, রুট ও বর্ন ফরচুইন সর্বোচ্চ ২টি করে এবং ভেল্লালাগে শিকার করেন ১ উইকেট।
তবে ম্যাচটিতে ফলাফলের চেয়ে আলোচনায় পার্ল রয়্যালসের স্পিনারদের করা পুরো ২০ ওভার। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এমন ঘটনা এবারই প্রথম। স্পিন ঘূর্ণির এই সিদ্ধান্তে পার্লের বাজিমাত।
এর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এসএলসি টোয়েন্টি-২০ তে প্রথমবার পুরো ম্যাচেই স্পিনাররা বোলিং করেছেন।
২০ ওভার স্পিন বোলিং করে লঙ্কান ক্রিকেট ক্লাব বার্গার রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারায় ৪৪ রানে। দ্বিতীয়বার এমন চিত্র দেখা যায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে।
চীনের হাংজুতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের বিপক্ষে মালয়েশিয়ার স্পিনাররা পুরো ২০ ওভার করেছিলেন।
সেই ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৬ রান তোলে। পরে বাংলাদেশও স্পিনারদের দিয়ে করায় ১৫ ওভার। বাকি ৫ ওভার করেন পেসাররা।
৮ উইকেট হারিয়ে মালয়েশিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। স্লো ট্র্যাকের পিচে ম্যাচটি অবশ্য ২ রানে জিতে নেয় বাংলাদেশ।