সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ মাত্র ২১ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্ট ম্যাচ জয়। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা গত শতাব্দীতেও লেখা হয়নি। অবিশ্বাস্য এক কাণ্ডই ঘটিয়েছেন লিটন দাস আর মেহেদি মিরাজ। পিন্ডিতে পাক পেসারদের পিণ্ডি চটকে দিয়েছেন তারা লিখেছেন রূপকথা।
টেস্টে ম্রিয়মাণ বাংলাদেশ, ২৪ বছরের যাত্রায় যাদের জয় বিশের কোটাও ছুঁতে পারেনি, তারাই পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই ধবলধোলাই করেছে। যাদেরকে এর আগের ১৩ টেস্টে একবারও হারানো যায়নি, নিজেদের মাঠে ৭০ বছরে যারা কেবল একবারই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, তাদেরকে আরও একবার লজ্জায় ডোবালো টাইগাররা। এই অর্জনকে তাই যত বিশেষণই দেয়া হোক, কমতি থেকে যাবে।
ইতিহাস রচনা করা জয়ের কুশীলব কারা? ব্যাট হাতে অবশ্যই মুশফিক-লিটন দাস-মিরাজরা। যদিও সিরিজের শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরের নামটা পাকিস্তানি মোহাম্মদ রিজওয়ানের। তবে, প্রথম টেস্টে সবগুলো উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়ায় মুশফিকরা যে ব্যাট করারই সুযোগ পাননি সেটিও তো বিবেচনায় রাখতে হবে!
বল হাতে শীর্ষে থাকাদের তালিকায় চোখ দিলে কেবল বাংলাদেশিরাই নজরে আসবেন। শীর্ষ পাঁচে একমাত্র পাক বোলার খুররাম শাহজাদ। এক ইনিংসে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দিলেও, দলকে হারের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। উল্টো হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানাদের আগুনে বোলিংয়ে পুড়েছেন পাক ব্যাটাররা।
তবে, পাকদের দুঃস্বপ্ন হয়ে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। উইকেট সংগ্রাহের তালিকায় সবার শীর্ষে তিনি। রান সংগ্রহের তালিকায়ও শীর্ষ ৫-এ মিরাজ। সাকিবযুগ ফুরিয়ে আসার ক্ষণে আরেক অলরাউন্ডারের বিশ্বমানের পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই দেশের ক্রিকেটে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিবে। অস্থির সময়ে যেমনটা দিয়েছে ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়।