এছাড়া বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি বহাল আছে। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য জাতীয় ক্রিকেট লিগ রাজশাহীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৪ আগষ্ট থেকে শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে হবে ৮ দলের এই টুর্নামেন্ট। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে মেয়েদের এনসিএল।
বিসিবির নারী বিভাগের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার বলেন, ‘রাজশাহীতে উইকেট ভালো। মেয়েরা যেন ভালো উইকেটে খেলতে পারে, স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে পারে, আমরা এটাই চাই। আর এ সময় যেহেতু বৃষ্টির সময়, রাজশাহীর দিকে বৃষ্টিটা একটু কম হয়। দুটি মাঠ পাওয়া যায়। টুর্নামেন্টটা শেষ করতে হবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এটা যেহেতু আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্ততির অংশ। এজন্যই রাজশাহীতে খেলা দেয়া।’
প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকবেন এমন ক্রিকেটারদের নিয়েই সাজাবো হবে ‘এ’ দলের স্কোয়াড। যার ফলে প্রস্তুতির ঘাটতি হবে না বলে আশাবাদী বাশার।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতির ক্ষতি খুব একটা হচ্ছে না। আমরা বিশ্বকাপকে ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মেয়েদের ওয়ান টু ওয়ান অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের স্থানীয় কোচরা ছিলেন। কোচিং স্টাফ চলে এসেছে। এনসিএলটা আমাদের প্রস্তুতির অংশ। তারপর আমরা শ্রীলঙ্কাতে ‘এ’ দল পাঠাব। সেটাও আমাদের প্রস্তুতির অংশ। যাদের নিয়ে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করব, তাদের নিয়েই ‘এ’ দলটা সাজাব'
তবে ঘরের মাঠের কন্ডিশন মিস করবেন তারা। শুধু তাই নয় ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পেয়ে জ্যোতি-জাহানারা যে হতাশ সেটাও জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ না হওয়ায় যেটা হলো, সবারই ইচ্ছা থাকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা। মেয়েদের অনেকেরই সে স্বপ্ন ছিল। এ জন্য ওরা একটু হতাশ। আমরা অবশ্যই ঘরের মাঠের কন্ডিশন মিস করব।’