ক্রিকেট
এখন মাঠে
১৫ ক্রিকেটারকে ৬০ হাজার টাকা বৃত্তি দিবে বিসিবি
স্কুল ক্রিকেট থেকে বাছাই করা ১৫ জন ক্রিকেটারকে বাৎসরিক ৬০ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করবে বিসিবি। এছাড়া তাদেরকে ক্যাম্পের আওতায় এনে আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরা ভবিষ্যতে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চলছে জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। জেলা পর্যায়ের পর শনিবার শুরু হয়েছে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাও। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হলো দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনের ট্রফি।

আগের মৌসুমে প্রতিভার ঝলক দেখানো ১৫ জন ক্রিকেটারকে বাছাই করে তুলে এনেছে বিসিবি। তাদেরকে মাসিক ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। খুদে এসব ক্রিকেটারকে নিয়ে আলাদা প্রশিক্ষণের কথাও ভাবছে বোর্ড। এদের মধ্যে কয়েকজন ডাক পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও। সবমিলিয়ে রঙীণ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু হয়ে গেল তাদের।

একজন ক্রিকেটার বলেন, 'এটার মাধ্যমে মাত্র আমাদের যাত্রা শুরু হলো। এরপর অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাম্প আছে। এখান থেকে বিসিবির মাধ্যমে ক্যাম্প করা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।'

স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট থেকে জাতীয় দলে ক্রিকেটার যোগান হয় অনেক। সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গী হওয়া তানজিম সাকিব, শাহাদাত দিপু কিংবা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা উঠে এসেছেন স্কুল ক্রিকেট থেকে। ভবিষ্যতেও স্কুল ক্রিকেটের এই আয়োজন সমৃদ্ধ করবে জাতীয় দলের পাইপলাইন, প্রত্যাশা বোর্ডের।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা বলেন, 'স্কুল ক্রিকেটকে আমার মনে হয় এখন হাইলাইট করা দরকার। এই খেলোয়াড়রাই বিভিন্ন ধরনের বয়সভিত্তিক দলে অংশগ্রহণ করে। তারা টপ লেভের ক্রিকেট পর্যন্ত খেলছে।'

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে এবার টুর্নামেন্ট চলাকালীণ বেশকিছু উদ্যোগও হাতে নিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, 'আমরা যদি এখন স্বকুল ক্রিকেটটা শেষ করতে না পারি। হয়তো এ বছরের ক্যালেন্ডার থেকে স্কুল কিকেটটা মুছে যাবে। কারণ আমাদের হাতে সময় অনেক কম। নভেম্বরর ডিসেম্বরে পরীক্ষার কারণে আমরা এটা করতে পারি না।'

এবার জেলা পর্যায়ে অংশ নেয় ৩৫২টি স্কুলের ৮হাজার ৮০০ ক্রিকেটার।

এমএসআরএস