রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশিয়ার দেশগুলোকে একসাথে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রাজনীতি
0

রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তরিক হতে হবে এশিয়ার দেশগুলোকে। চীনের বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফিলিস্তিনে ইসরাইল বর্বরোচিত হামলার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ।

এশিয়ার ৬০টি দেশ অঞ্চলের এক মহাসম্মেলনে চীনের হাইনান প্রদেশের দ্বীপ শহরে এই আয়োজনে যোগ দিয়েছেন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান এবং বড় বড় বিনিয়োগকারীরা। সম্মেলনের উদ্বোধনি বক্তব্য দিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বক্তব্যের শুরুতেই তুলে ধরেন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও রোহিঙ্গা ইস্যু। বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এশিয়ার দেশগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকার রাখতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে উঠে আসে ফিলিস্তিন এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ইস্যুও। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে নৃশংসতার মাত্রা ছাড়িয়েছে। আর ইউক্রেনের যুদ্ধ সরবরাহ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

এসময় জলবায়ু ইস্যু, সামাজিক ব্যবসা এবং এশিয়ার অর্থনীতির গতি প্রকৃতি নিয়েও কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বোয়াও সম্মেলনের সাইডলাইনে চীন সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথমেই স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বৈঠক করেন চীনের নির্বাহী উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং জুই জিয়াংয়ের সাথে। এরপর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চীনের এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইউয়ু'র সাথে।


এসএইচ