জলাবদ্ধতায় ক্ষতির মুখে চাঁদপুরের হাজারো পান চাষি

কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ক্ষতির মুখে পড়েছে চাঁদপুরের হাজারো পান চাষি। পানি নিষ্কাশনের অভাবে নষ্ট হয়েছে কম-বেশি প্রায় সব পানের বরজ। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে কৃষকদের। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান চান কৃষকরা।

পান চাষের জন্য সুপরিচিত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা। পান চাষ করে জীবন চালান এই জনপদের হাজারো কৃষক। পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলাতেও কম নয় পানচাষির সংখ্যা। কিন্তু চলতি বছর অতিবৃষ্টিতে হাইমচর উপজেলার নয়ানী, লক্ষ্মীপুর, নীলকমল, আলগী, চরভৈরবীসহ প্রতিটি এলাকার পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। সাথে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন।

হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রামের পান চাষি আবু তাহের। পানের বরজে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে করছেন পানি নিষ্কাশনের কাজ। ইতোমধ্যে দুটি পান বরজের একটি নষ্ট হয়ে গেছে। অপরটি রক্ষায় চেষ্টা করছেন প্রাণপণ।

একই উপজেলার আরেক পান চাষি হেনা বেগম। দশ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি পানের বরজে এখন কোমর সমান পানি। পচে গেছে সকল পানের লতা। তাই আগামীতে চাষাবাদ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ হেনার কপালে।

শুধু আবু তাহের কিংবা হেনা বেগমই নয়, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাজারো পান চাষি। প্রায় প্রতি বছর বর্ষায় বৃষ্টির পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। এবারও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে অন্তত ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট নির্মাণের দাবি তাদের।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তালিকা পাঠানো হবে।

কৃষকদের ক্ষতি কমাতে পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড়িবাঁধ, স্লুইসগেট নির্মাণের কথার পরিকল্পনা জানালেন, চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী।

চাঁদপুরে মহানলি, চালতাকোঠা, নরডোগ, কালীডোগ জাতের পান চাষ করা হয়। বছরে প্রায় ১হাজার ৬শ' মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয় এখানে। পান চাষে বছরে লেনদেন হয় প্রায় ১শ' কোটি টাকার।

tech