গুণগত মানের দিক দিয়ে সারা দেশে খ্যাতি রয়েছে যশোরের পাটের। তবে চলতি বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে জেলার চাষিদের। সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারায় আঁশের মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
এরই মধ্যে পাট কাটা শুরু হলেও পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে ক্ষেতেই রোদে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন পরিবহনে করে দূরের জলাশয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাগ দিতে। এতে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে চাষিদের।
কৃষকরা বলছেন, গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এবার পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। তবে এবার পানি সংকটে বেড়েছে খরচ। সেই হিসাবে কাঙ্খিত দাম না পেলে লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তারা।
কয়েকজন চাষি জানান, বর্তমানে পাটের যে দাম রয়েছে তা খরচের তুলনায় কম। এমন পরিস্থিতি হলে পুরো শ্রমই বৃথা যাবে।
এ অবস্থায় পাট পঁচানোর বিষয়ে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। একইসঙ্গে কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক প্রতাপ মন্ডল বলেন, সরকারি পর্যায়ে যেসব পুকুর অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে প্রশাসনিক সহায়তা নেয়ার মাধ্যমে পাট জাগ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এবছর যশোরে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদিত পাটের বাজার দর প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা।