কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

টমেটোর ফলন ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

তীব্র রোদে আগেভাগেই পেকে যাচ্ছে টমেটো। খরানিতে মরে যাচ্ছে গাছ। ফলন ভালো হলেও দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না পঞ্চগড়ের চমেটো চাষিদের। গত বছরের চেয়ে দাম কমায় উৎপাদন খরচ তোলা নিয়েও শঙ্কায় চাষিরা।

দুই দশক ধরে পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো। এবারো ৭৩৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে এই সবজি। তবে অব্যাহত তীব্র তাপপ্রবাহে চরম ক্ষতির মুখে চাষিরা।

ফলন ভালো হলেও তীব্র রোদে তাড়াতাড়ি পেকে যাচ্ছে টমেটো। এছাড়া, খরানিতে মরে যাচ্ছে গাছ। এ অবস্থায় উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।

এ বছর টমেটোর দাম নিয়েও হতাশ চাষিরা। তারা বলছেন,গেলো বছর এই সময় প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। তবে, এবার তা চলছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে বীজ, পরিচর্যা, সার, কীটনাশক, উত্তোলন বাবদ খরচ যেখানে ৫০ হাজার টাকা। সেখানে বিঘায় ২০০ মণ ফলনেও মিলছে না লাভের দেখা।

একজন চাষী বলেন, 'ফলন এ বছর অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রোডাকশন খরচ অনেক বেশি। সেচের পানি দিয়ে কাজ হয় না। সারের যে দাম তাতে প্রতি বিঘায় ৪০ হাজার টাকা করে লস।'

কৃষকের মতো লোকসানের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, বাজারে আমদানি বেশি থাকায় কমেছে দাম। তবে আশা বিরূপ আবহাওয়া কেটে গেলে ভালো দাম মিলবে।

দীর্ঘদিন সংরক্ষণে হিমাগার নির্মাণ। সস তৈরির কারখানা স্থাপনসহ কিছু উদ্যোগ নিলে এ অঞ্চলে টমেটো কেন্দ্রিক কৃষি অর্থনীতি গড়ে উঠবে বলে মনে করেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, 'এই টমটেো সংরক্ষনের জন্য যদি বিশেষায়িত হিমাগার তৈরি হতো তাহলে এই টমেটো এখানকার কৃষি অর্থনীতিকে আরও বেশি মজবুত করতো। এতে করে কৃষকরা বেশি লাভবান হতো।'

পঞ্চগড়ের মাটি ও আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উপযোগী হওয়ায় কৃষকেরাও এই সবজি চাষে ঝুঁকেছিলেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলায় টমেটো চাষ হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে, লোকসানের ঝুঁকিতে কয়েক বছরে চাষ কমেছে ৪ গুণ।

এসএস