কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
তরমুজে শত কোটি টাকা আয়ের আশা
ফেনীর সোনাগাজীর বিস্তৃর্ণ চরে আবাদ হচ্ছে তরমুজ। মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। গত কয়েক বছর ব্যাপক লাভ হওয়ায় চলতি মৌসুমে বেড়েছে এ ফলের আবাদ। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় সম্ভব বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।

ফেনী নদীর তীরের সমুদ্র উপকূলীয় জনপদ সোনাগাজী। বিস্তীর্ণ এ অঞ্চলের সমৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে তরমুজ। মাটির গুনগত মান ভাল হওয়ায় এখানকার তরমুজ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সারাদেশে। চরের কৃষি অর্থনীতির পালে লেগেছে নতুন হাওয়া।

চলতি মৌসুমে পুরো ফেনী জেলায় প্রায় ৬২৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে শুধু সোনাগাজিতেই প্রায় ৫৭৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন এই ফল। ইতোমধ্যে অনেক গাছে এসেছে ফুল-ফল। চাষিদের ব্যস্ততায় ক্ষেতজুড়ে বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য।

কৃষকরা বলছেন, ধান ও অন্য ফসলের চাইতে তরমুজে লাভ বেশি। তাই তরমুজ আবাদে ঝুঁকছেন। তারা বলেন, সোনাগাজীর মাটিগুলো ভালোই তাই আমরা এখানে তরমুজ করতেছি। ৬-৭ বছর ধরে তরমুজ করতেছি একবারও লস হয় নাই। প্রত্যেক বছর লাভ করি।

বছরের এ সময়ে পুরো এলাকার অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে তরমুজ। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসছেন এ ফল কিনতে।

ক্রেতারা বলেন, ফ্রেশ তরমুজ নেয়ার জন্য এসেছি। এখানে অনেক তরমুজ চাষ হয়। এর কারণে সোনাগাজীর অর্থনীতি ভালোর দিকে যাচ্ছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, প্রতিবছর ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় তরমুজের আবাদ বাড়ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, 'সোনাগাজী উপজেলায় তরমুজ চাষ খুব প্রভাব ফেলছে। কৃষকরাও এতে লাভবান হচ্ছে এবং আমাদের পতিত জমিগুলো ব্যবহার হচ্ছে।'

২০১৭ সালে সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ শুরু করেন এক কৃষক। তার সফলতার পর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় চাষাবাদ। গত মৌসুমে ৬০ কোটি টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করা হয়।

এভিএস