গৃহিনী নিপা ইসলাম, তার হাতের তৈরি কারুপণ্য নিয়ে এসেছেন এই হাটে। যেখানে মাটির তৈরি বাটনা, বাঁশের পিষনি, সুপারি গাছের খোল থেকে তৈরি করা বাটি, পুঁথির মালা ও অন্যান্য পণ্য রয়েছে।
নিজ হাতে তৈরি ক্যালিগ্রাফি, কাঠের মালা, ছবির ক্যানভাস এবং নানাবিধ খাদ্যপণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আফরোজা সেতু। আর তাহমিনা নীলা এসেছেন ছাদ বাগানে উৎপাদিত গাছের চারা নিয়ে।
নরসিংদী সরকারি কলেজের পাশে শেখ রাসেল পৌর মাঠে এসব কারুপণ্য নিয়ে এমন প্রায় তিন শতাধিক নারী উদ্যোক্তা হাজির হয়েছেন। সুতা, রঙ, কাঠ এবং পাটের তৈরি পণ্যের সাথে স্থান পেয়েছে নকশি পিঠাসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য।
নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য। ছবি: এখন টিভি
নারী উদ্যোক্তারা বলেন, ‘এখানে সরাসরি আমাদের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে পারছি। এছাড়া এই হাটের মাধ্যমে পণ্যের পরিচিতি বাড়ছে।’
সৌখিন কারুপণ্য থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্য একসাথে পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা। তারা বলেন, ‘এখান থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো একসঙ্গে কিনতে পারছি।’
ছয় মাস আগে মাত্র ১০ জন নিয়ে শুরু হওয়া এই হাটে বর্তমানে ৩শ'র বেশি উদ্যোক্তা আছেন। নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে এই হাট বলছেন আয়োজকরা।
প্রতি শনিবার বিকেলে বসা এই হাটে মাসে অন্তত ২৫ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়।