গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, 'শুনেছি বেক্সিমকোর আন্দোলনরত শ্রমিকরা গ্রামীণ ফেব্রিক্স নামে একটি কারখানায় আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। কালিয়াকৈর থেকে আরও দু'টি ইউনিট যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে উত্তেজিত শ্রমিকরা বাঁধা দেয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে। আশা করি দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে।'
এর আগে বন্ধ থাকা বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে শ্রমিকরা। শ্রীপুরের সানসিটি হাউজিং মাঠে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ করে কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানায় শ্রমিকরা। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মোজারমিল এলাকায় চন্দ্রা -নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বেশকিছু যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। আগুন ধরিয়ে দেয় একটি মালামাল বোঝাই ট্রাক ও বাসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা কাজ করছেন।
খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে শ্রমিকদের মারধরের শিকার হন চার সাংবাদিক। উত্তেজিত শ্রমিকদের হামলায় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাভিশন টিভির চিত্র সাংবাদিক আমির হোসেন রিয়েল ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিবেদক আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন। শ্রমিকরা সাংবাদিকদের দু'টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।'
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।