খুলনা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। জুলাই স্মৃতির শোকে কাতর এখানে আগত পরিবারগুলো। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে কেউ হারিয়েছেন সন্তান, কেউবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
এসব শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন। খুলনা বিভাগে নিহত ৭৪টি পরিবারের মধ্যে ৫৮ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় ৫ লাখ টাকার চেক। এসময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দেন তারা।
রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩০ জুলাই পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলনে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে আওয়ামী লীগ পতনের সব কৃতিত্ব এখন তারা নিচ্ছে।
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন সারজিস আলম বলেন, ‘বড় গলায় কথা বলার আগে নিজেদের জায়গা থেকে একটি জিনিস চিন্তা করুন জুলাইয়ের পুরো মাসে আপনাদের অবস্থান কী ছিল? এখন আপনাদের ব্লেম গেম ও অপরাজনীতির যে গেম খেলছেন এগুলো দিয়ে আপনারা আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে পারবেন না।’
এসময় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য পুলিশ ইমেজ সংকটে রয়েছে।’ তাই সুনামের সঙ্গে কাজ করে সেই ইমেজ ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেন তিনি।
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ তাদের ইমেজ যে হারিয়েছে। এটি ফিরে পাওয়ার জন্য এখন খুনি হাসিনার কোনো পদক্ষেপ নেই। বাংলাদেশ রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র কাঠামোর সরকার যদি চায়, তারাও এটা যতটুকু প্রত্যাশিত ততটুকু কোনো দিন ফিরাতে পারবে না যদি না বাংলাদেশ পুলিশ নামক প্রতিষ্ঠানটি নিজে চেষ্টা না করে। আর এই চেষ্টা করতে হবে তাদের কাজের মাধ্যমে।’
এর আগে সকালে, জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আসেন জুলাই আগস্টের নিহতের পরিবার। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।