কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, 'আমরা যারা গবেষণা করি আমরা মূলত মানুষকে কর্মক্ষম করার জন্য এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্যই কাজ করি। আমাদের গবেষণাগুলো যেন শুধু পেটেন্ট এবং পাবলিকেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। গবেষণার কাজগুলো যদি সমাজে ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে তবেই আমাদের সার্থকতা। আমরা গবেষণাগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারলে সহজেই তার ইমপ্যাক্ট পাওয়া সম্ভব।'
তিনি বলেন, 'টেংরা এবং কাঁকড়ার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা ইমপ্যাক্টফুল বিষয় হলো আমরা কাঁকড়া চাষের জন্য একটা নির্দিষ্ট ফিড উদ্ভব করেছি। আমি বিশ্বাস করি তরুণ প্রজন্ম আরো বেশি গবেষণামূলক কাজ করবে। আমাদের অর্জিত জ্ঞান যদি আমরা নতুন নতুন উদ্ভাবনে প্রয়োগ করতে পারি এবং তা যদি সমাজের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে তবেই আমাদের সার্থকতা।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব ইকবাল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেনেবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ শরিফুল আযম ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেনেবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান।
নোবিপ্রবি ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন খাঁচায় নোনা টেংরা চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল-ইসলাম এবং সম্পূরক খাদ্য ও হ্যাচারির পোনা দিয়ে কাঁকড়া চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন। উল্লেখ্য, নোবিপ্রবির এই গবেষণা মৎস্য ক্ষেত্রকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গবেষকগণ।