দেশে এখন
0

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এখনো শেষ হয়নি নেত্রকোণার বাইপাস সড়কের কাজ

নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনো শেষ হয়নি নেত্রকোণার বাইপাস সড়কের কাজ। মাটি ভরাট আর ব্রিজ নির্মাণে চলে গেছে প্রকল্পের নির্ধারিত চার বছর। অথচ, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বেশকিছু স্থানে এখনো শুরুই করা যায়নি কাজ। সবমিলিয়ে ১৩ দশমিক ২ কিলোমিটার এই প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশেরও কম। এদিকে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা শেষ করে দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে কাজ।

নেত্রকোণা ময়মনসিংহ সড়কের সাথে বাইপাস সড়কের সংযোগে মগড়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। ব্রিজের পর সড়ক নির্মাণের অংশে এখনও রয়ে গেছে বাড়িঘর আর কৃষি জমি। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশি অংশে শুরু হয়নি কোন কাজ। তাই ব্রিজ নির্মাণ হলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। উল্টো বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে অ্যাপ্রোচের মাটি, ভেঙেছে গাইড ওয়ালও।

বাইপাস সড়কের প্রায় প্রতিটি অংশেই যেন একই অবস্থা। বেশ কিছু অংশে কাজ ধরলেও শেষ হওয়ার যেন নাম নেই। কোথাও কোথাও শুধু মাটি ফেলেই দায় সেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বহুল কাঙ্খিত এই সড়কের কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।

নেত্রকোনার চল্লিশা থেকে রাজুর বাজার পর্যন্ত ১১ দশমিক দুই কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজ শুরুর পর প্রকল্প আরো দুই কিলোমিটার বর্ধিত করা হয়। এর মধ্যে চারটি ব্রিজ ও ২২ কালভার্ট সহ কয়েকটি প্যাকেজে কাজ শুরু করে তাহের ব্রাদার্স ও জামিল ইকবাল কনস্ট্রাকশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। তবে জমি বুঝে না পাওয়ায় বেশ কিছু অংশে সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যেই চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপরও কাজে তেমন গতি চোখে পড়েনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তালবাহানার কারণে শেষ হয়নি কাজ। এছাড়াও, ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ বুঝে না পাওয়ায় অনেকেই ছাড়ছেন না জমি।

সড়ক ও জনপদ বলছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

নেত্রকোণা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন বলেন, ‘প্রকল্পের দৈর্ঘ্য বাড়াতে আমাদের ডিপিপি সংশোধন করা লেগেছে। এ কাজগুলো করা হয়েছে এবং ভূমি অধিগ্রহণের কাজও ভালোভাবে চলছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককের কার্যালয় থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছে টাকা পরিশোধের জন্য এবং আমাদের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’

২৯৬ কোটি টাকা মূল্যের চলমান এই প্রকল্পে ৪৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০৩ কোটি টাকা। সড়ক আর ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯৩ কোটি টাকা।

এএম