দেশেতো বটেই, বিশ্বে শান্তি বিনষ্টকারীদের দমনেও কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে গেল ১৪ বছর ধরে লেবাননে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কাজ করে চলেছে। মঙ্গলবার বেনকন ১৫ এর আওতায় লেবাননে অবস্থিত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ সংগ্রামে যোগ দিতে ৭৫ জন নৌ সদস্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে চিফ স্টাফ অফিসার টু কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল মিশনগামী নৌসদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান এবং নৌ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে নৌসদস্যদের একযোগে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার টু কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. শামসুল হক বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ তথা, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ভূমিকা উজ্জ্বলতর করার লক্ষ্যে আমাদের মিশনে প্রেরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইউএন কোড অব কন্ডাক্ট ও কর্মদক্ষতাসহ কার্যক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হবে যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যই নৈতিকভাবে চরিত্রবান, সুশৃঙ্ক্ষল, উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, বিনয়ী ও আচরণে মার্জিত।’
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
বর্তমানে নিয়োজিত নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ 'সংগ্রাম' লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে।
পাশাপাশি লেবানিজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের উপর নজরদারি, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবাননের সামরিক সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চলেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩শ' নৌ সদস্য জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের যুদ্ধ জাহাজে অংশগ্রহণ করে।