দেশে এখন
0

৭ বছরেও শেষ হয়নি বরিশাল ২শ' শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের নির্মাণ

৭ বছরেও শেষ হয়নি বরিশালের ২শ' শয্যাবিশিষ্ট 'শহীদ সুকান্ত বাবু' শিশু হাসপাতালের নির্মাণকাজ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর। গণপূর্ত বিভাগ জানায়, দ্রুতই হাসপাতালের কাজ শেষে হস্তান্তর করা হবে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হলে বরিশাল বিভাগের মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবে।

বরিশাল বিভাগে শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসাস্থল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড। এখানে প্রতিদিনই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকে চিকিৎসা নেয় মেঝেতে। এছাড়াও সেবা নিতে রোগী ও তার স্বজনদের পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে।

স্বজনদের একজন বলেন, ‘আমাদের হাতের নাগালে হাসপাতালে হলে আমরা সেখানেই যেতে পারি। আমাদের ভোগান্তিও কম হবে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমি বলবো যে মা ও শিশুদের জন্য স্পেশাল হাসপাতাল দরকার আছে।’

এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের উন্নত চিকিৎসায় ২০১৭ সালে নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকায় বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার।

যেখানে সাধারণ শিশু ওয়ার্ড, রেডিওলজি, ডায়াগনস্টিক, প্যাথলজি, অপারেশন ব্লক, থেরাপি বিভাগসহ থাকবে প্রশাসনিক ব্লক ও সম্মেলন কক্ষ।

তবে, নির্মাণকাজ ২ বছরে শেষ হবার কথা থাকলেও এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৭টি বছর। মূল ভবনের নির্মাণ শেষে বর্তমানে চলছে রং করা, ইলেক্ট্রিক লাইন, সড়ক মেরামত, লিফটসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘এই হাসপাতালের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে আমার বিশ্বাস অতিসম্প্রতি এই হাসপাতালের উদ্বোধন হবে।’

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছে, করোনা এবং অর্থ সংকটে প্রকল্পের কাজ দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত সময়ের মধ্যেই হাসপাতালটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ‘আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।’

বরিশাল বিভাগে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল না থাকায় উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। এমন অবস্থায় "শহীদ সুকান্ত বাবু" শিশু হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার দাবি স্থানীয়দের।

ইএ