১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পেলেও নাগরিক সুযোগ-সুবিধায় অনেকটাই পিছিয়ে দিনাজপুর পৌরসভা। বিশেষত বেহাল রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ ঠেকেছে চরমে।
পৌরসভার বেশিরভাগ সড়কই খানা-খন্দে ভরা। প্রতিটি রাস্তায় চলাচল যেন এক একটি রোলার কোস্টার রাইড। কারণ বেশিরভাগ ড্রেন ভরাট হয়ে রাস্তায় পানি জমে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে খানাখন্দ। স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক সংসদ সদস্য আর মেয়র দ্বন্দ্বে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু বলেন, ‘খোঁজ নিলে জানা যাবে, এই অটো ও রাস্তা-ঘাটের দুর্ঘটনায় অনেক পরিবারের মা, বোন ভাইয়েরা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।’
এ বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বিশ্ব ব্যাংকের আরইউটিডিপি প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েকটি রাস্তা পুনঃর্নির্মাণে বাজেট পাশের তথ্য দিয়েছে পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা।
উত্তরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা সৈয়দপুর। ভৌগলিক কারণে স্থানীয় বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে এই শহরে। প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার ১৫০ কি.মি. সড়কের ৮০ ভাগই বেহাল। শহরের অন্যতম সামসুল হক সড়ক ও জহুরুল হক সড়কের অবস্থাও করুণ। বিশেষ করে তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত শেরে বাংলা সড়ক যেন স্থানীয়দের গলার কাঁটা।
সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাকির হোসেন বাদল বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসকদের যদি সদিচ্ছার অভাব থাকে তাহলে উনারা কিন্তু আমাদের এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
সৈয়দপুর পৌরসভার ইউএনও ও প্রশাসক নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রাস্তার জন্য হিসেব করেছি, বিশেষ করে সৈয়দপুরের মেইন যে রাস্তা তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত এটা আমাদের একনেকে পাশ হয়েছে। এটা একটি সুসংবাদ। এছাড়া অভ্যন্তরীণ যেসব ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেসব ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য আমরা প্রকল্প করে ইতোমধ্যে ঢাকাতে পাঠিয়েছি। যা পাশ হয়ে আসলে আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’
রংপুর বিভাগের ৩১টির মধ্যে ১৭টি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। তবে প্রায় সব পৌরসভার রাস্তা-ঘাটই বেহাল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।