অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণের এক মাসের মাথায় ২০২৪ এর নির্বাচনকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে কোনো নির্বাচন কমিশনার ছাড়াই চলছে ইসি সচিবালয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে, তার দিনক্ষণ ঠিক না হলেও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নাম প্রস্তাবের শেষ সময়। এবার দু'একটি ছাড়া বেশিরভাগ দলই মেইলে তাদের প্রস্তাবিত নামগুলো জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি পাঁচটি, এবি পার্টি পাঁচটি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ১০টি, জেএসডি চারটি ও গণ অধিকার পরিষদ ছয়টি নাম প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবিত তালিকা থেকে বেশ কয়েকটি নাম এখন টেলিভিশনের কাছে এসেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিংবা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নাম এসেছে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের বর্তমান প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের নাম। সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও সুপ্রিম কোর্টে সাবেক রেজিস্টার ইকতিদার আহমেদের নামও প্রস্তাব করেছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট জেনারেল নাজিম উদ্দিনের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে।
এছাড়া নাম এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবায়েত ফেরদৌস ও প্রফেসর রুহুল আমিনের। প্রস্তাব করা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর নাম।
গণ অধিকার পরিষদের একজন বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা তিনজনের নাম দিয়েছি। এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা তিনজনের নাম দিয়েছি। সর্বমোট ছয়জনের নাম দিয়েছি। এখান থেকে তারা যাচাইবাছাই করে নির্ধারণ করবেন কারা যোগ্য, কাদের এই কমিশনে নিয়োগ দেয়া দরকার।'
সাবেক সচিব এ এন এম নাসির উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে। এছাড়া সাবেক যুগ্মসচিব, তাহমিদা আহমেদ, ড. এ ওয়াই এম একরামুল হক ও মুনির চৌধুরী নামও প্রস্তাব করেছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
গত ৩১ অক্টোর সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়ে বলা হয়েছে, ১৫ দিনের কার্যদিবসের মধ্যে বাছাইকৃত তালিকা জমা দিতে হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।