দেশে এখন
0

রাঙামাটিতে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু

উর্ধমূখী বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্বল্পআয়ের মানুষের নাগালে রাখতে রাঙামাটিতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও বাজার টাস্কফোর্স। আলু, পেঁয়াজ ডিমসহ ১০টি সবজি ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজার শুরু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। তবে বাজারের আওতা বৃদ্ধি আর পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ভোক্তারা।

আজ (বুধবার, ৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি পৌর মার্কেট প্রাঙ্গণে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।

জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি পৌরসভার সহযোগিতায় এই বাজার পরিচালনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এতে আলু, মুলা, বেগুন, বরবটি, পটল কেজিপ্রতি মূল্য রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়া শসা ৩০ ও লাউ ২০ও ৩০। আর পেঁয়াজ ৯০, কাঁচামরিচ ১২০, ডিমের ডজন মিলছে ১৩০ টাকা। বাজারমূল্য থেকে এসব পণ্য ২০ হতে ৮০ টাকা কমে মিলছে এই বাজারে।

বাজারের চেয়ে কিছুটা কমদামে এসব পণ্য পেয়ে খুশি স্বল্পআয়ের মানুষেরা। দাবি জানিয়েছেন বাজারের আওতা বৃদ্ধি আর পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর।

গৃহবধূ শিল্পী দাশ বলেন, 'আমরা গরীব মানুষ। কত কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। এভাবে দিলে অনেক সুবিধা হয়।'

মনোয়ারা বেগম নামের একজন বলেন, 'বাজারে কাঁচামরিচ কেজি দুইশ' টাকা। এখানে ১২০ টাকা। পেঁয়াজ পাচ্ছি ৯০ টাকায়। ১০০ টাকার বরবটি এখানে পেলাম অর্ধেক মূল্যে, ৫০ টাকায়।'

আলী হোসেন বলেন, 'বাজারের চেয়ে অনেক কমমূল্যে পণ্য পাচ্ছি । এটা আমাদের জন্য অনেক স্বস্তির। জেলা শহরে আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও এই বাজার এবং পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো হলে ভালো হতো।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আব্দুল আহাদ বলেন, 'নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি পৌরসভা এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন।'

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, 'একেবারেই সুলভমূল্যে এ বাজারটি পরিচালিত হবে। যতদিন পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসবে, ততদিন পর্যন্ত এটি চালু থাকবে। সাধারণ মানুষ যারা সবকিছুই কিনে খেতে হয় তারা যেন স্বস্তি পায়। আশা করছি মানুষ উপকার পাবে।'

এসএস