উৎপাদক থেকে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছাতে, আড়ত, মোকাম, পাইকারি কিংবা খুচরা পর্যায়ে হাতবদল নিয়মিত ঘটনা। তবে, এই প্রক্রিয়ায় মধ্যসত্বভোগীর কারসাজিতে পকেটশূন্য হয় ভোক্তার।
ভোক্তাদের সচেতনতার লক্ষ্যে আজ (শনিবার, ২৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ভোক্তা অধিকার সম্মেলন করে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ব্যক্তি কিংবা করপোরেট গ্রুপের হাতে আগের সরকার জিম্মি ছিল কিন্তু আমরা এদের হাতে বন্দি নই। যেকোনো ধরনের কঠোর ব্যবস্থা আমরা নিতে পারি এবং আমরা নিচ্ছি।’
কৃষি ও শিল্প খাতে তরুণদের উদ্যোক্তা হবার আহ্বান জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সকল কার্যক্রমে ছাত্রদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
ব্যক্তি কিংবা করপোরেট গ্রুপ পণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি করলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দিতে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি সবরকম সহায়তা করবে সরকার।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘যারা উৎপাদক তারা বাধা সৃষ্টি করে। এটা আমরা শুনেছি, এইটা হয়তো থাকতে পারে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে ছাত্রনেতারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে করতে না পারলে, ছাত্র-জনতা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেবে। এসময় আওয়ামী লীগের শাসন আমলে তৈরি হওয়া বাজার দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোক্তাদের যেন অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন না করা হয়। ভেজাল মিশ্রণ না করা খাদ্যের মধ্যে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে করতে না পারলে আমাদের জানাবেন, ছাত্র-জনতা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেবে।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘প্রত্যেকের ভিতর সচেতনতা আনতে হবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাহ বলেন, ‘৫ই আগস্টের আগের আইন এখন আর চলবে না।’
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী ও আমলারা, উৎপাদন ও বণ্টনের সঙ্গে জড়িত থাকায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ জনগণের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়লে, বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।