নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-মনোহরদী উপজেলার মারুফা (২৩), শিবপুরের বৈলাব এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০), শিবপুরের সাতপাড়া এলাকার সিএনজি চালক শাহিন (৩৫) ও রায়পুরার মির্জারচর এলাকার মোস্তফা (৪৮)। এর মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিক নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নরসিংদীর মনোহরদী থেকে ২ নারীসহ ৫ জন যাত্রী নিয়ে ইটাখোলা - মঠখোলা আঞ্চলিক সড়ক ধরে শিবপুরের ইটাখোলার দিকে যাচ্ছিলো একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। এটি শিবপুরের চক্রধা ইউনিয়নের পচারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদীগামী সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় অটোরিকশার চালকসহ পাঁচ যাত্রী। পরে, স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কে খানাখন্দ থাকায় উচ্চ গতিতে কোনো গাড়ি চললেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক সংস্কার না হলে এরকম আরও দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে। আরিফুল ইসলাম মৃধা নামে একজন বলেন, '৬ জন নিহতের মধ্যে ২ জন নারী। দুটো গাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই ৬ জন মারা যায়।'
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসাইন বলেন, 'দুটি গাড়িই উচ্চগতি থাকায় এই দুর্ঘটনা ধারণা করছি আমরা। এছাড়া ট্রাক ও ট্রাক চালক আটক আছে। মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সকল মরদেহের বিস্তারিত পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।'