বয়স শিথিল করে শূন্য কোটায় চাকরি স্থায়ীসহ বৈষম্য দূর করার দাবিতে বরিশাল পশ্চিমাঞ্চল পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পিচরেট কর্মচারী ও লাইন সাহায্যকারী শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ওজোপাডিকোর অধীনে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে ভোলাসহ ২১ জেলায় কর্মরত প্রায় ৫ শতাধিক কর্মচারী এই কর্মবিরতি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, বার বার আশ্বাস মিললেও আশানুরূপ কোন সমাধান আসছে না। কোম্পানির প্রায় সব দপ্তরেই অসংখ্য শূন্যপদ রয়েছে। তাই শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে মিল রেখে বেতন নির্ধারণেরও দাবি জানান তারা।
শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘একটি মিটার রিডিং করলে ৩ টাকা পায় আর বিল বিতরণ করলে ২ টাকা ৭৫ পয়সা পেয়ে থাকি। বর্তমান বাজার রেটের সাথে এই আয়ে আমাদের চলা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।’
আরেকজন বলেন, ‘তারা যদি সুষ্ঠু পাবে আমাদের দাবি মেনে নেয় তাহলে আমরা কাজে ফিরে যাবো।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে মিটার রিডিং, বিল প্রস্তুত করণসহ বিতরণ কার্যক্রম। যার ফলে সময় মত বিলের কপি পাচ্ছেন না নগরবাসী। তারা বলছেন, আন্দোলনের কারণে যাতে গ্রহীতাদের ভোগান্তির শিকার হতে না হয়।
গ্রাহকদের একজন বলেন, ‘একটা নির্ধারিত টাইমে বেতন হয় এখন যদি দুইটা তিনটা বিল একসঙ্গে আসে তাহলে পরিবার চালাবো কীভাবে।’
আরেকজন বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে যে চার্জ দেওয়া হচ্ছে সেটা হলে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছে।’
তবে চলমান পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ। দ্রুতই সমস্যার সমাধান করে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা হবে।
বরিশাল ওজোপাডিকো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এই বিষয়টা আমাদের উপরমহল দেখছেন। আর মিটারের রিডিং বিকল্প কীভাবে নেয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’
পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বরিশাল সার্কেলের গ্রাহক সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। এর বিপরীতে ৪০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ২৩৬ জন।