৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বিভিন্ন খাতের সংস্কার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই গঠিত হয় সংস্কার কমিশন।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানকে। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
কমিশন প্রধান বলেন, ‘পুরোপুরি স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি ভ্রান্ত ধারণা। সরকার ছাড়া বিচার বিভাগ চলে না। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, 'অ্যাবসলিউট সেপারেশন এটা একটা ভুল ধারণা। অ্যাবসলিউট সেপারেশন হবে না। জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। অন্যান্য যারা আছে তারা জুডিশিয়ারিকে যেন সম্মান করে। বিচার বিভাগ না থাকলে জনপ্রশাসন চলতে পারবে না। বিচার বিভাগ না থাকলে দেশ চলতে পারবে না।'
কী কী বিষয়ে সুপারিশ করা হবে, এই প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কার নিয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমানো, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির বিষয়গুলোকে জোর দিচ্ছে কমিশন।’
বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, 'জনগণের সুখ-সুবিধাটা দেখবো আমরা। একটা মামলার প্রসেস যখন আরম্ভ হয়, এটা সমর ইস্যুতে দেখা যায় সাত থেকে আটবার ফেরত আসে। এটা কীভাবে নিরসন করা যায় সেটার দিকে আমরা নজর দেবো। মামলা বিলম্ব যেন না হয়। এর সাথে যুক্ত হলো মামলার খরচ। এরই মধ্যে সরকার থেকে আমরা কিছুটা গাইডলাইন পেয়ে যাবো।'
বিচার বিভাগের সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করাসহ ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার সুপারিশ নিয়ে বসতে পারে বলে মনে করেন কমিশন প্রধান।