দৈনিক ১৭শ' মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের যমুনা সার কারখানা।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৯শ' ডিলারের মাধ্যমে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ ২১ জেলার কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করা হয়। তবে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ৯ মাস স্থবির রয়েছে কারখানাটির সার উৎপাদন কার্যক্রম।
সম্প্রতি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে সার উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিআইসি। সেখানে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে যমুনা সার কারখানায় চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কারখানাটি শ্রমিক, কর্মচারী- কর্মকর্তাসহ অন্তত চার হাজার মানুষ। কারখানা এলাকায় অলস পড়ে রয়েছে শত শত ট্রাক। কারখানা চালু না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে প্লান্ট প্রিজারভেশন করা কঠিন হয়ে যায়। এতে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থায়ীভাবে বন্ধের শঙ্কায় পড়া যমুনা সার কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে দ্রুতই চালু করা হবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।