দেশে এখন
0

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জে বেড়েছে সংঘর্ষের ঘটনা

হবিগঞ্জ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জে বেড়েছে সংঘর্ষের ঘটনা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন, আহত সহস্রাধিক। ক্রমে সংঘর্ষ বাড়ার কারণ হিসেবে মাঠপর্যায়ে পুলিশের তৎপরতা কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। তবে পুলিশ বলছে, শিগগিরই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

দুই যুবকের কথা কাটাকাটির জেরে গত ২৭ আগস্ট হবিগঞ্জের মিরপুর বাজারে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামবাসী। একে একে সংঘর্ষে যোগ দেয় ২০ গ্রামের মানুষ। দুই দফায় ৯ ঘণ্টার বেশি চলে সংঘর্ষ। পুরো মিরপুর বাজার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ৩ শতাধিক মানুষ।

৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নবীগঞ্জের মোস্তফাপুরে। এতে নিহত হন মন মিয়া নামে এক বৃদ্ধ। আহত হয় নারী-পুরুষসহ অন্তত ৩০ জন। স্থানীয়দের অভিযোগ সংঘর্ষের খবর দিলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্তত ৪ ঘণ্টা পর।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হঠাৎই জেলায় বেড়েছে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা। নিয়মিতই জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটছে ছোটবড় মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা। যার সূত্রপাত হয় মূলত- ফেসবুকে স্ট্যাটাস, বিতর্ক কিংবা গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।

পুলিশ বলছে, সচেতনতা বৃদ্ধি ও মনোভাব পরিবর্তনের মাধ্যমেই বিশৃঙ্খলা করা সম্ভব। আর সচেতন মহল বলছেন, পুলিশের জড়তা কাটানোর পাশাপাশি মনোবল বাড়ানো না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সহজ হবে না।

হবিগঞ্জ সুশাসনের জন্য নাগরিকের সভাপতি এড. ত্রিলোক কান্তি চৌধুরি বিজন বলেন, 'তাদেরকে পুনগঠন করে মনোবল ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এখন সব থেকে বড় বিষয়। যদি মনোবল ফিরি না আসে তাহলে এই পুলিশ দিয়ে এই দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব না।'    

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক খান বলেন, 'এই এলাকার লোকজন সহজ সরল কিন্তু ইমোশনাল। আমার কাছে মনে হয় এই ইমোশনটাকে যদি পজিটিভভাবে কাজে লাগায় তাহলে এই সমস্যা দুর হবে। তাকে বোঝাতে হবে এই দাঙ্গার কারণে ক্ষতি কি হচ্ছে।' 

দ্রুতই জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে, এমনটা আশা করছেন হবিগঞ্জবাসীর।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর