দেশে এখন
0

ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক নেই: উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার

২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধের নির্দেশ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেছেন, 'দু’দেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়। এরসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।'

আজ (রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজা উপলক্ষে ভারতের ব্যবসায়ীদের চাহিদার আলোকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়। রপ্তানির কারণের দেশের বাজারে ইলিশের দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ইলিশ আহরণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় জেলেদের খাদ্য সহয়তা বাড়ানো হবে।’ 

সভায় কর্মকর্তারা বলেন, নদীতে পলি পড়ায় সমুদ্র থেকে মিঠা পানিতে মাছ আসার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছের পরিভ্রমণ ও ডিম উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আগামী ১ মাসের মধ্যে নদী ডেইজিং করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।

এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। 

দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ইলিশ মাছ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারতের ফিশ ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত ৯ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।

তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে ৫০০ টন চাহিদার প্রেক্ষিতে ৫০০, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৫০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৮৫০, ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ২০০, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৩০০ এবং ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৯৫০ টনের বিপরীতে ১ হাজার ৩০০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

ইএ