যে জানালা দিয়ে আগে উঁকি দিত সকালের সূর্য, উজ্জ্বল হয়ে উঠতো সাজানো সংসার। আজ ফিকে পড়ে আছে সেই জানালা, নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ঘরের সবকিছু। এখন ভিটেমাটির সবশেষ অংশ বাঁচানোর আকুতি কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরের বাসিন্দা দিলদার বেগমের।
শুধু দিলদার বেগমই নয়, গত এক দশকে এভাবেই সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে কক্সবাজারের আড়াইশ'রও বেশি পরিবার। আর নদী ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটছে বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ৫ গ্রামের বাসিন্দাদের। ভাঙনের কবলে পড়ে পাহাড়ি এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন হাজারো মানুষ। তাই এসব এলাকায় স্থায়ী, টেকসই বেড়িবাঁধ স্থাপনের দাবি স্থানীয়দের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদী তীরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে দক্ষিণ মিঠাছড়িতে বাঁধ নির্মাণে আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা। আর ভাঙনে ঘর হারাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীর তীরবর্তী ভূমিতে রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। যাদের অধিকাংশই জীবিকা নির্বাহ করেন নদী তীরে চাষাবাদ করে।