নগরীজুড়ে মাঝ রাস্তা দিয়েই চলছে ব্যাটারিচালিত এ রিকশা। কিছু কিছু সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের এ বিষয়ে বিশেষ কোনো ভূমিকা বা পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
ট্রাফিকের দায়িত্ব থাকা একাধিক সদস্যরা বলছেন, আইন মানতে চান না অটোরিকশার চালকরা। এদিকে এই কারণে রাজধানীর শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, টিকাটুলি ও গেন্ডারিয়াসহ অধিকাংশ এলাকায় দিনে কিংবা রাতে সড়কের যানজট কমছে না।
আবার কোথাও কোথাও একবার যানজট লেগে গেলে তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কমছে না। এ অবস্থায় ঢাকার সড়কে চলাচলকারীদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে।
নগরবাসীরা বলছেন, যত্রতত্র পার্কিং, উল্টোপথে গাড়ি চালানো ও সিগন্যাল অমান্য করে আগে যেতে চাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে নিয়ম ভঙ্গ করছেন এ চালকেরা। যে কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
এদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে সড়কপথে গণমানুষের ভোগান্তি কমাতে ১১ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। আজ (সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের আহ্বায়ক কেফায়েত উল্লাহ শাকিল ও যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এ সুপারিশ জানানো হয়।
এই সুপারিশে প্রথম দফাতেই বলা হয়েছে, রাজধানীর প্রধান সড়কে রিকশা, অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কম গতির এসব বাহন প্রধান সড়ক অতিক্রম করবে না। তারা এলাকাভিত্তিক বাইপাস সড়ক, সাইড সড়ক, গলিপথ ও যেসব সড়কে বাস চলাচল করে না সেখানে চলাচল করবে। তবে এক্ষেত্রে রিকশা বা অটোরিকশার চালকরা নিজেদের মধ্যে যাত্রী ভাড়ার টাকা শেয়ারিং করতে পারেন। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নেবেন।